নব নব সৃষ্টি সারাংশ। নব নব সৃষ্টি গল্পের প্রশ্ন উত্তর। বড় প্রশ্ন উত্তর। নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধ। নব নব সৃষ্টি গল্পের উৎস।

 


নব নব সৃষ্টি সারাংশ। নব নব সৃষ্টি গল্পের প্রশ্ন উত্তর।

                                                               নব নব সৃষ্টি

                                                                        সৈয়দ মুজতবা আলী



১। সূচিপত্র:

ক। কবি পরিচিতি

খ। সারসংক্ষেপ

গ) নামকরণ

ঘ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

ঙ। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ)২০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ৬০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩

ছ। বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়োপ্রশ্নোত্তর১৫০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও।



ক)কবি পরিচিতি:

জন্ম:

 ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতের সিলেটের করিমগঞ্জের তার জন্ম হয়। বাবার নাম সেকেন্দার আলী

 এবং মা আমতুন মান্নান খাতুন। বাবার বদলি চাকরি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার

 প্রাথমিক শিক্ষা ঘটে। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন এবং সেখান থেকে

 সংস্কৃত ইংরেজি হিন্দি গুজরাটি আরবি ফরাসি প্রভৃতি ভাষা তিনি শেখেন। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে

 শান্তিনিকেতন থেকে তিনি বিএ ডিগ্রি লাভ করেন।


কর্মজীবন:

 তার কর্মজীবন শুরু হয় আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা দিয়ে। তারপর আলিগড়

 বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার অধ্যাপক নিযুক্ত হয়ে কাবুলে যান।

কাবুল থেকে হোমবোল্ভ বৃদ্ধি পেয়ে তিনি গবেষণার জন্য জার্মানি যান। তিনি ভাষা

 গবেষণার ডিগ্রি লাভ করে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে আবার তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন।


সাহিত্য জীবন:

শান্তিনিকেতনেপড়তেপড়তেতিনিবিভিন্নপত্রিকায়লেখালেখিশুরুকরেনদেশ,আনন্দবাজার,ব

সুমতি, সত্যযুগ প্রভৃতি পত্রিকায় নিয়মিত তাঁর লেখা প্রকাশ হত। বহু দেশ ভ্রমণেরঅভিজ্ঞতা

ভ্রমণ কাহিনী ছোট গল্প উপন্যাস দ্বারা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেতিনিতারউল্লেখযোগ্য

গ্রন্থগুলি হল-ভ্রমণ কাহিনী- 'দেশে-বিদেশে,রম্য রচনা-'পঞ্চতন্ত্র,। উপন্যাস-শবনম ছোটগল্প-

চাচাকাহিনী,প্রবন্ধ-চতুরঙ্গ,প্রভৃতি।


সম্মান ও স্বীকৃতি:

তার সাহিত্যের জন্য তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।যেমন-১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে

 নরসিংহ দাস পুরস্কার,২০০৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মরণোত্তর'একুশে পদক,এ ভূষিত করেছেন।


মৃত্যু:

১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে এই মহান সাহিত্যিকের মৃত্যু ঘটে।


খ। বিষয়সংক্ষেপ:

প্রাচীন যুগের অধিকাংশ ভাষাকে লেখক আত্মনির্ভরশীল এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা বলেছেন।

 হিব্রু,গ্রীক,আবেস্তা,সংস্কৃত এবং কিছুটা পরবর্তী যুগের আরবিও নতুন ভাষার প্রয়োজন হলে

 নিজ ভান্ডারে প্রথমে শব্দের খোঁজ করেছে। এই সমস্ত ভাষা খুব সামান্যই বিদেশী ভাষা

 ব্যবহার করেছে, এই ভাষা গুলি স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিয়ে লেখক কোন আপত্তি প্রকাশ করেননি।

 এই বিচারে লেখক বর্তমান যুগের বাংলা এবং ইংরেজিকে অন্য ভাষার উপর নির্ভরশীল

 বলেছেন। কারণ বাংলা এবং ইংরেজি প্রয়োজন ছাড়াও বিদেশি শব্দ ব্যবহার করে।পাঠান-

 মোগল যুগে আরবি,ফারসি শব্দের খুব বেশি প্রচলনের ফলে এই দুই ভাষা থেকে বাংলা

 ভাষায় প্রচুর শব্দ প্রবেশ করেছে।

লেখক স্পষ্ট ভাবে বলেছেন যে বিদেশী শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করবেই সে বিষয়ে সন্দেহ

 নেই। আলু কফির বা বিলেতি ওষুধের ব্যবহার।যেমন-রোজ বাড়ছে তেমনি বাংলা ভাষাতে

 বিদেশি শব্দ থেকে যাবে এবং আরো নতুন শব্দের প্রবেশ ঘটবে।

হিন্দি ভাষার তরুণ সাহিত্যিকরা হিন্দি ভাষা থেকে আরবি,ফারসি,ইংরেজি ভাষার ব্যবহার বন্ধ

 করার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। তাঁদের এই চেষ্টার ফলাফল ভালো না মন্দ হবে,সে কথা

 ভবিষ্যৎ বলবে। তবে রবীন্দ্রনাথ নজরুল বা বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষায় অনার্সেই বিদেশি

 শব্দের ব্যবহার করেছেন। এমনকি হিন্দি ভাষার বঙ্কিমচন্দ্র হিসেবে পরিচিত মুন্সি প্রেম চন্দও

 হিন্দি ভাষার আরবি ফরাসি শব্দের ব্যবহার করেছেন। শংকর দর্শনের ভাষা সংস্কৃত ভাষা

 হবে। আবার মোগলাই রেস্তোরাঁর ভাষা হুতুম প্যাঁচার নকশায় ব্যবহৃত ভাষার মতোই হবে

। বসুমতি পত্রিকার সম্পাদকীয়তাতে গম্ভীর্য থাকলেও বাঁকা চোখের ভাষাতে রয়েছে চটুলতা।


বাংলা ভাষায় যেসব বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে তাদের মধ্যে আরবি ফারসি এবং ইংরেজি

 প্রধান। স্কুল-কলেজ থেকে সংস্কৃত চর্চা বন্ধ করা উচিত নয় কারণ বাংলা ভাষার বর্তমানেও

 সংস্কৃত ভাষার প্রয়োজন আছে। ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রেও সংস্কৃতের মতই একই কথা

 প্রযোজ্য কারণ দর্শন নন্দন শাস্ত্র এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সাহিত্যচর্চাতে ইংরেজি ভাষার বিকল্প

 নেই কারণ রেলের ইঞ্জিন চালাতে হয় কি করে তা জানার জন্য ইংরেজি ভাষারই বেশি

 প্রয়োজন। আরবি এবং ফারসি ভাষা দারুন ভাবে বাংলায় প্রবেশ আর করবে না কারণ তরুণ

 বাঙালিরা এই দুই ভাষার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। তবে যে সব আরবি ফরাসি শব্দ বাংলা ভাষায়

 ইতিমধ্যে ঢুকে গেছে সেগুলি দীর্ঘদিন চালু থাকবে।

প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় মাদ্রাসাগুলিতে আরবি ভাষা পড়ানো হলেও ভারতীয় আর্যরা

 ফরাসি ভাষার প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট হন। ফরাসি ভাষার জন্মের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে উর্দু

 এবং কাশ্মীরি ভাষার জন্ম হয়। উর্দু কবি ইকবাল উর্দু ভাষাকে ফরাসির প্রভাব থেকে মুক্ত

 করার চেষ্টা করেন।

বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্য পদাবলী কীর্তন। এই কাব্যের শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীমতি রাধার চরিত্রে

 খাঁটি বাঙালিয়ানা ফুটে উঠেছে। ভাটিয়ালির নায়িকা, বাউলের ভক্ত,মুর্শিদি গানের ক্ষেত্রেও

 প্রযোজ্য। বাঙালি তার ধর্ম,রাজনীতি,সাহিত্য-সর্বত্রই সত্য-শিব- সুন্দরের আরাধনা করেছেন

 এবং সেই আরাধনায় কেউ বাধা দিলে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। এই বিদ্রোহী মনোভাব বাঙালি

 হিন্দু-মুসলিম উভয় জাতির ক্ষেত্রেই বর্তমান।

গ। নামকরণ:

সাহিত্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে নামকরণের একটি বিশেষ ভূমিকা আছে। নামকরণ নানান ভাবে হতে

 পারে। যেমন-বিষয়কেন্দ্রিক,চরিত্রপ্রদান, ব্যঞ্জনধর্মী ইত্যাদি। লেখক তার নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে

 বলেছেন, কিছু ভাষা আছে যেমন সংস্কৃত হিব্রু গ্রীক আবস্থা এমনকি আরবি ইত্যাদি প্রাচীন

 ভাষাগুলি অনেকটাই আত্মনির্ভরশীল। আবার বাংলা ইংরেজির মত ভাষাগুলি অন্য ভাষা

 থেকেও শব্দ নেই। এই শব্দগুলি স্থায়ীভাবে ভাষায় থেকে যায়রবীন্দ্রনাথ, নজরুল,বিদ্যাসাগর-

সকলেই অন্য ভাষা থেকে শব্দ নিয়ে নিজেদের সাহিত্যে ব্যবহার করেছেন। এইসব শব্দও

 বাংলা ভাষায় কিছুদিন টিকে থাকবে। এখন আরবি থেকে ফরাসিরগ্রহণযোগ্যতা বেশি। উর্দু

 ও হিন্দি সাহিত্যে ফরাসি ভাষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ইকবালেরমতো কেউ কেউ অবশ্য

 উর্দুকে ফরাসির প্রভাব মুক্ত করতে চেষ্টা করেছেন। আবারপদাবলী কীর্তন-বাঙালি হিন্দুই

 হোক অথবা মুসলমান-তারা সব সময় স্বাধীনভাবে চলতেচায়-এই বিদ্রোহীসত্তা তাদের মধ্যে

 সব সময় কাজ করতে থাকে। সব মিলিয়ে শব্দ ওভাষাধার নেওয়া বা বর্জন করা এই দুই

 বিপরীতমুখী লড়ায়ে সাহিত্য গড়ে ওঠে। তাই'নব নবসৃষ্টি,নামকরণটি সার্থক হয়ে উঠেছে।


ঘ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১। নব নব সৃষ্টি রচনাংশটির রচিয়তা হলেন-

ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খ) বুদ্ধদেব বসু

গ) সৈয়দ মুস্তাফা আলী

ঘ) বেগম রোকেয়া

উত্তর:(গ) সৈয়দ মুস্তাফা আলী


২। সৈয়দ মুস্তাফা আলীর ছদ্মনাম-

ক) ভানু সিং

খ) ওমর খৈয়াম

গ) মৌমাছি

ঘ) শ্রীপান্থ

উত্তর:(খ) ওমর খৈয়াম


৩। নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধটির মূল গ্রন্থ-

ক) পঞ্চতন্ত্র

খ) চতুরঙ্গ

গ) ঘরে বাইরে

ঘ) দেশে বিদেশে

উত্তর:(খ) চতুরঙ্গ


৩। একটি আত্মনির্ভরশীল ভাষা হল-

ক)বাংলা 

খ)ফার্সি 

গ)ইংরেজি 

ঘ)সংস্কৃত

উত্তর:(ঘ) সংস্কৃত


৪। নতুন শব্দ প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষা-

ক) অন্য ভাষা থেকে শব্দ দয়া করে

খ) অন্য ভাষা থেকে শব্দ নিয়ে তাকে বদলে নেয়

গ) নিজের ভান্ডারে খোঁজ করে

ঘ) নতুন শব্দ তৈরি করে নেয়

উত্তর;(গ) নিজের ভান্ডারে খোঁজ করে


৫। প্রাচীন যুগের ভাষা হল-

ক) ইংরেজি

খ) ফার্সি

গ) হিব্রু

ঘ) ফরাসি

উত্তর:(গ) হিব্রু


৬। আত্মনির্ভরশীল নয়,এমন ভাষা হল-

ক) ইংরেজি

খ) হিব্রু

গ) আবেস্তা

ঘ) গ্রীক

উত্তর:(ক) ইংরেজি


৭। আইন-আদালত,খাজনা-খারিজ কোন ভাষার শব্দ?

ক) আরবি-উর্দু

খ) সংস্কৃত- উর্দু

গ) বাংলা-ফার্সি

ঘ) আরবি-ফার্সি

উত্তর:(ঘ) আরবি-ফার্সি


৮।'রান্নাঘর থেকে তাড়ানো মুশকিল,-কী তাড়ানো মুশকিল?

ক) আলু বেগুন

খ) পটল কপি

গ) আলু কফি

ঘ) বেগুন উচ্ছে

উত্তর:(গ) আলু কপি


৯। বিদ্যাসাগর লিখতেন-

ক) সাধু ভাষায়

খ) আরবি ভাষায়

গ) সংস্কৃত ভাষায়

ঘ) অসাধু ভাষায়

উত্তর:(ক) সাধু ভাষায়


১০।'বাঁকা চোখ,-ভাষায় থাকত-

ক) সরলতা

খ) গাম্ভীর্য

গ) চটুলতা

ঘ) বিদ্রুপ

উত্তর:(গ) চটুলতা


ঙ) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ২০টি শব্দের মধ্যে (SAQ)। প্রশ্নের মান-১


১)'নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধটির রচয়িতা কে?

উত্তর:'নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধটির রচয়িতা হলো সৈয়দ মুজতবা আলী।


২)নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধটি লেখকের কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?

উত্তর:প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত "চতুরঙ্গ" গ্রন্থনামক প্রবন্ধ থেকে ‘নব নব সৃষ্টি' রচনাংশটি নেওয়া হয়েছে।


৩)‘নব নব সৃষ্টি' কথাটির অর্থ কী?

উত্তর‘নব নব সৃষ্টি' বলতে লেখক নতুন নতুন নির্মাণ বা সৃষ্টির কথা বোঝাতে চেয়েছেন।

৪)সংস্কৃতকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলতে লেখকের আপত্তি নেই কেন ?


উত্তর:নতুন বিষয় বোঝাতে নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষা অন্য ভাষায় ধার করার পরিবর্তে নিজ শব্দভাণ্ডারে তার খোঁজ করে।


৫)প্রাচীন যুগের সব ভাষাই 'তাই' বলতে কী বোঝ ?

উত্তর: প্রাচীন যুগের হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা এবং আরবির মতো ভাষাগুলি নতুন শব্দসৃষ্টির ক্ষেত্রে সংস্কৃতের মতো বোঝাতে ‘তাই’শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।


৬)প্রাচীন যুগের কয়েকটিআত্মনির্ভরশীল ভাষার নাম বলো।

উত্তর: প্রাচীন যুগের কয়েকটি আত্মনির্ভরশীল ভাষা হল-হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা,সংস্কৃত প্রভৃতি।


৭)বর্তমান যুগের কোন ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয় বলে লেখক মনে করেন ?

উত্তর:বর্তমান যুগের ইংরেজিও বাংলা ভাষাকে লেখক আত্মনির্ভরশীল বলে মনে করেন না।


৮)পাঠান ও মোগল যুগে কোন কোন ভাষা থেকে এবং কেন প্রচুর শব্দ গ্রহণ করেছি ?

উত্তর:পাঠান ও মোগল যুগে আইন-আদালত,খাজনা-খারিজ নতুন রূপে দেখা দেওয়ায় আমরা আরবি ও ফারসি থেকে প্রচুর শব্দ গ্রহণ করেছি।


৯)আমরা কোন্ সময়ে আরবি-ফারসি থেকে প্রচুর শব্দ গ্রহণ করেছি ?

উত্তর:আমরা পাঠান-মোগল যুগে আরবি-ফারসি থেকে প্রচু শব্দ গ্রহণ করেছি।


১০) নব নব সৃষ্টি রচনাংশে লেখক সৈয়দ মুস্তাফা আলী কোন প্রশ্নকে অবান্তর বলেছেন?

উত্তর: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুস্তাফা আলীর রচিত 'নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে তিনি বলেছেন-ভাষায় বিদেশি শব্দ গ্রহণ ভালো- না মন্দ-এই প্রশ্নকে লেখক অবান্তর বলেছেন।


১১) হিন্দি ভাষাসাহিত্যের বঙ্কিম কাকে বলা হয়?

উত্তর: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুস্তাফা আলীর রচিত 'নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে হিন্দি ভাষা সাহিত্যের বঙ্কিম বলা হয় বিখ্যাত সাহিত্যিক মন্সী প্রেমচাঁকে।


১২) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আরবি, ফরাসি শব্দ কোথায় ব্যবহার করতেন?

উত্তর: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুস্তাফা আলীর রচিত 'নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে বিদ্যাসাগর তাঁর ছদ্মনামে লেখা রচনায় প্রচুর আরবি-ফরাসি শব্দ ব্যবহার করতেন।


চ)ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ৬০টি শব্দের মধ্যে। প্রশ্নের মান-৩


১) 'সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল'-কেন সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে এই কথা বলেছেন?

উত্তর: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত'নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলেছেন। কারণ, তিনি মনে করেন,কোন নতুন চিন্তা,নিজের অনুভূতির প্রকাশের জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষা অন্য কোন ভাষা থেকে শব্দ ধার করে না। নিজের শব্দ ভান্ডারে এমন কিছু ধাতু বা শব্দ খোঁজ করে, সামান্য কিছু অদল বদল করে নতুন শব্দটি তৈরি করা যেতে পারে। এই কারণেই সংস্কৃতিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলা হয়েছে।


২) বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি তার পদাবলি কীর্তনে।'-এই পদাবলি কীর্তনের কোন বৈশিষ্ট্যের দিকে লেখক ইঙ্গিত করেছেন?

উত্তর: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত 'নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে  লেখকের মতে,পদাবলি সাহিত্যের প্রাণ আর দেহ দুটোই খাঁটি বাঙালী ছিল৷মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণ শুধু

বাংলায় যে কানু হয়ে উঠেছেন তাই নয়, রাধাও হয়ে উঠেছেন একেবারে খাঁটি বাঙালি মেয়ে। ভাটিয়ালি নায়িকা, বাউলের ভক্ত আর পদাবলীর রাধা একই চরিত্র হয়ে উঠেছে।


ছ)বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড় প্রশ্ন উত্তর ১৫০ টি শব্দের মধ্যে। প্রশ্নের মান-৫


১)'বিদেশি শব্দ নেওয়া ভালো না মন্দ সে প্রশ্ন অবান্তর।'-মন্তব্যটির ব্যাখ্যা বুঝিয়ে দাও।

উত্তর:প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত 'নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে

ভাষা তার নিজের শব্দভাণ্ডার থেকে ধাতু বা শব্দের দ্বারা নতুন শব্দ তৈরি করতে পারলেই ভাষার মনের ভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ পায়। কিন্তু বিদেশি শব্দ গ্রহণ করলেও ভাষা অনেকসময় সুন্দর হয়ে ওঠে যদি সেই ভাষা বিষয়কেন্দ্রিক হয়। লেখকের মতে,'রচনার ভাষা বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে।'প্রাচীন কাল থেকেই বাংলা ভাষায় সংস্কৃত,আরবি,ফারসি প্রভৃতি শব্দ ঢুকে পড়েছে।ইংরেজি ভাষার বদলে বাংলা ভাষাকে শিক্ষায় চালু করার ভালোফল পাওয়া গেছে। কারণ বাংলায় প্রচুর পরিমাণে ইউরোপীয় বা বিদেশি শব্দ ঢুকে পড়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও আমরা বহু বিদেশি জিনিসপত্র ব্যবহার করে থাকি। ভাষাকে আরবি-ফারসি শব্দ মুক্ত করার জন্য চেষ্টা শুরু করেছেন হিন্দি ভাষার সাহিত্যিকরা। তার ফলাফল ভালো না খারাপ হবে লেখক তা ভবিষ্যতের ওপর ছেড়ে দিলেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ আরবি-ফারসি ভাষা মিশিয়ে লিখেছেন,'আব্রু দিয়ে,ইজ্জ দিয়ে, ইমান দিয়ে,বুকের রক্ত দিয়ে।' আবার নজরুল ইসলামও 'ইনকিলাব,‘শহিদ'প্রভৃতি বিদেশি শব্দ বাংলায় ব্যবহার করেছেন।আভিজাত্য ওপর ভাষার ব্যবহার নির্ভর করে। ফলে বিদেশি শব্দের ব্যবহারও ভাষাকে সমৃদ্ধ করে তোলে।


২)'ইংরেজি চর্চা বন্ধ করার সময় এখনও আসেনি।'-বক্তা কে?এরূপ উক্তির কারণ কী?

উত্তর:প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুস্তাফা আলীর রচিত‘নব নব সৃষ্টি'রচনাংশের বক্তা হলেন-লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী।

*আলোচ্য অংশে,বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল ভাষা নয়। আরবি-ফারসির মতোই ইংরেজির থেকেও আমরা প্রচুর শব্দ ধার করেছি। ভাষাকে সুন্দর করে তোলার জন্য অন্য ভাষাকে ত্যাগ করার চেষ্টা একেবারে অবাস্তব কিছু নয়। হিন্দিতে এ চেষ্টা হয়েছে। আবার বিখ্যাত লেখকদেরও দেখা গিয়েছে যে, তাঁরা অন্য পথে হেঁটেছেন। বাংলা ভাষাতেই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রমুখ এর উদাহরণ।লেখক

দেখিয়েছেন যে বাংলা ভাষায় যে শব্দ এসেছে তার মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি প্রধান। এক্ষেত্রে ইংরেজির গুরুত্ব কোনোভাবেই এড়ানো সম্ভব নয়। প্রয়োজনীয় বাংলা শব্দের অভাব,দর্শন,নন্দনশাস্ত্র,পদার্থ কিংবা রাসায়নবিদ্যা ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় শব্দ বাংলায় যথেষ্ট নেই। রেল ইঞ্জিন চালানোর প্রযুক্তির বিষয়ে বাংলায় কোনো গ্রন্থ নেই। এখানে ইংরেজির উপরে নির্ভর করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। এইসব কারণেই লেখকের মনে হয়েছে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য ইংরেজির চর্চা বন্ধ করার সময় এখনও আসেনি।




CONTENTS:

আরো পড়ুন:

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের প্রশ্নউত্তর Click Here 

ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

 দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

 নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here

 হিমালয় দর্শন গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here 

ভাঙার গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here

  আবহমান কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

 আমরা কবিতা প্রশ্ন উত্তর click Here 

খেয়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here

আকাশের সাতটি তারা কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here 

নিরুদ্দেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর click here

রাধারানী গল্পে প্রশ্ন উত্তর Click Here 

চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর part-1 click Here  

চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর part-2 click 


ব্যোমযাত্রীর ডায়েরির প্রশ্ন উত্তর Click Here 

কর্ভাস গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here 


Teles of Bhola grandpa Lesson1 Unit 1 Click Here

Teles of Bhola grandpa Unit 2 Click Here

All about a Dog Lesson 2-Unit -1 -Click Here

All about a Dog Lesson 2 Unit 2 Click Here

Autumn poem Lesson 3 Part 1 Click Here


A Day in the zoo Lesson 4 Part 1 Click Here

A Day in the zoo Lesson 4 part 2 Click Here



আবহমান কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here



প্রবন্ধ রচনা দৈনন্দিন জীবনের বিজ্ঞান Click here 

একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রবন্ধ রচনা click here 

বাংলার উৎসব প্রবন্ধ রচনা Click here 

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা Click here 


গাছ আমাদের বন্ধু প্রবন্ধ রচনা Click here 

মোবাইল ফোনের ভালো মন্দ প্রবন্ধ রচনা Click here 

বইমেলা প্রবন্ধ রচনা Click here 

বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ প্রবন্ধ রচনা Click here 

একটি গাছ একটি প্রাণ প্রবন্ধ রচনা Click here 



বাংলা ব্যাকরণ কারক ও অকারক সম্পর্ক Click here 


সমাসের প্রশ্ন উত্তর Click here 

বাক্যের প্রশ্ন উত্তর Click here 


বাংলা শব্দ কয় প্রকার ও কি কি Click here 


পদের পঞ্চম ভাগ- ক্রিয়াপদ Click here 































Post a Comment

0 Comments