হিমালয় দর্শন। হিমালয় দর্শন প্রশ্ন উত্তর। হিমালয় দর্শন সারাংশ। হিমালয় দর্শন class 9। নবম শ্রেণী। বড় প্রশ্ন উত্তর।


হিমালয় দর্শন। হিমালয় দর্শন প্রশ্ন উত্তর। হিমালয় দর্শন সারাংশ।

                                                 হিমালয় দর্শন

                                                                           বেগম রোকেয়া


১। সূচিপত্র:

ক। লেখিকা পরিচিতি

খ। উৎস

ঘ। পূর্ব কথা

ঙ। সারসংক্ষেপ

চ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

ছ। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ)২০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

জ। ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ৬০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩

ঝ। বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়োপ্রশ্নোত্তর ১৫০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও।



e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক। লেখিকা পরিচিতি:

১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের রংপুর জেলার পায়রা বন্ধ গ্রামে বেগম রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন জহির উদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলি সাবের। পূর্ববঙ্গের এক সম্ভ্রান্ত বংশে তাঁর জন্ম। তার তাঁর ছেলেবেলা থেকেই মনে দেশাত্মবোধ ও সমাজ কল্যাণের ভাবনা জন্ম নিয়েছিল। সেই সময়ে মুসলিম সমাজের অনুশাসন মেনে রোকেয়া ও তার বোনেদের বাইরে পড়াশোনা করতে পাঠানো হয়নি।বাড়িতেই তাদের আরবি ও উর্দু শেখানো হতো। রোকেয়ার দাদা ইব্রাহিম খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন।তিনি রকেয়াকে বাড়িতে গোপনে বাংলা ও ইংরেজি শেখাতে। রোকেয়ার চাওয়া পাওয়া ছিল অসীম।১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৮ বছর বয়সে ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে রোকেয়ার বিয়ে হয়। রোকেয়া স্বামী ছিলেন উদার মনের মানুষ। রোকেয়াকে তিনি লেখাপড়ায় উৎসাহ

 দিতেন। স্বামীর আগ্রহে রোকেয়া একদিন সাহিত্যচর্চা শুরু করেন।১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে রোকেয়ার স্বামীর মৃত্যু নামে ভাগলপুরে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল নামে একটি মেয়েদের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

বর্তমানে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল নামে পরিচিত। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে রোকেয়া'আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম,নামে একটি মুসলিম নারী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।১৯০২ খ্রিস্টাব্দে পিপাসা নামক একটি বাংলা গল্পের মাধ্যমে রোকেয়ার সাহিত্য জগতে প্রবেশ। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলি হল-মতিচুর,পদ্মরাগ,অবরোধবাসিনী প্রভৃতি।রকেয়ার স্মরণে বাংলাদেশ সরকার

তার পৈতৃক ভিটের উপরেই বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র নামক একটি গণ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। এছাড়াও ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়।১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ৯ ডিসেম্বর ভোরবেলা এই বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক সাহিত্যিকের

জীবনাবসান হয়।


খ। উৎস:

বেগম রোকেয়া রচিত'হিমালয় দর্শন,নামক রচনাটি তাঁর'কূপমন্ডুকের হিমালয় দর্শন,গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।


গ। পূর্ব কথা:

সমতলবাসী লেখিকা বেগম রোকেয়া হিমালয় দর্শন করতে গিয়ে হিমালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবংসেখানকার অধিবাসীদের জীবন যাপনের পরিচয় দিয়েছেন। যাত্রা পথের মনমুগ্ধকর দৃশ্যাবলী স্মরণ করে লেখিকা ভক্তি ভরে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।


ঘ। বিষয় সংক্ষেপ:

শিলিগুড়ি স্টেশন থেকে হিমালয়ান রেলগাড়িতে আকাবাকা পর্বতময় অতিক্রম করে যখন উপরে

উঠেছিলেন লেখিকা বেগম রোকেয়া, তখন পথের দুই ধারে দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম। তার মনে হচ্ছিল সে যেন মেঘের মধ্যে দিয়ে চলেছেন। চারপাশের সবুজ চা বাগান প্রাকৃতিক সভাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। যাত্রা পথে অনেকগুলি জলপ্রপাত এবং ঝরনা চোখে পড়েছিল। তার মনে হচ্ছিল হিমাদ্রির

পাষাণ হৃদয় বিদীর্ণ করে তারা যে,কোথা থেকে কোথায় চলেছে তা যেন কেউ জানে না-এইসব প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে লেখিকা বিস্মিত হয়েছিলেন।৪০০০ ফিট উপরেও এতটুকু ঠান্ডা ছিল না। অবশেষে তাঁরা কার্শিয়া স্টেশনে পৌঁছালেন। সেখান থেকে তার বাড়ি খুব কাছে,বাড়ি পৌঁছাতে তার বেশি সময় লাগবে না। কার্শিয়াং অঞ্চলে তখনও শীত পড়েনি,খানিকটা বসন্তকালের মতো আবহাওয়া। লেখিকারা ঝরনার জল

 ফিলটারে ছেঁকে ব্যবহার করেছিলেন। ঝরনার জল দেখতে খুব স্বচ্ছ কাঁচের মতো। সেখানকার

 আবহাওয়া স্বাস্থ্যকর। সূর্য ডোবার মুখের আলো আর বায়ু যেন এক অসাধারণ সৌন্দর্যের জগত সৃষ্টি করেছিল। সেই সৌন্দর্য দেখতে দেখতে তিনি আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন।

শুধু যে মেঘ রাজ্যের সৌন্দর্য দেখেছেন তা নয়,তাঁর পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের গাছ,বনভূমির সৌন্দর্য লেখিকাকে মুগ্ধ করেছিল। এখানেই লেখিকা প্রথম ঢেঁকি গাছ দেখেছিলেন। জঙ্গল বড়ো ভয়ংকর কিন্তু

 সেই জঙ্গলে বাঘ বা সাপ নেই শুধু আছে জোঁক। এখানকার স্ত্রী লোকেরা জোঁকে ভয় পায় না। এখানে সাধারণত ভুটিয়াদের বাস। মহিলা ভুটিয়ারা সাত গজ লম্বা কাপড় খাগড়ার মতো করে পড়ে, আর তাদের গায়ে থাকে জ্যাকেট। আর মাথায় বিলিতি শাল। পিঠে দু-এক মন বোঝা নিয়ে তারা অনাসে পর্বতের উপর- নিচ করতে পারে। ভুটিয়ানিরা নিজেদের পাহাড়নি বলে, অন্যদিকে সমতলের মানুষদের'নীচেকা আদমি বলে,পরিচয় দেয়।এরা কাজ করে, সাহসী ও সত্যবাদী।হিমালয়ের সৌন্দর্য রকেয়াকে মুগ্ধ করেছে। পার্বত্য উপত্যকার অনাবিল সভা দেখতে দেখতে তার মনে

হয়েছে মানুষের কাছে এই হিমালয় কত বৃহৎ কত বিস্তৃত ও মহান। কিন্তু যিনি এই হিমালয় সৃষ্টি করেছেন সেই স্রষ্টার কাছে এই হিমালয় কত তুচ্ছ। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সময় দেহ মনে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি বাড়ে।


ঙ। নামকরণ:

হিমালয় দর্শন একটি ভ্রমণ মূলক বৃত্তান্ত। তাই নামকরণের ক্ষেত্রে বিষয় গত ব্যঞ্জনাকেই প্রাধান্য দেওয়া

হয়েছে। সমতলবাসী এক মহিলার প্রথম হিমালয় দেখার বিস্ময় ও আনন্দই রচনাটির মূল উপজীব্য। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পার্বত্য ঝর্ণা গাছপালা মানুষ ও প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলি।

শিলিগুড়ি স্টেশনে নেমে সেখান থেকে কার্শিয়াং এবং কার সঙ্গে নিকটবর্তী গন্তব্য স্থলে পৌঁছানো হলোএই ভ্রমণ বৃত্তান্তের বিষয়। হিমালয়কে প্রথম দেখার যে অনুভূতি রচনাটিতে প্রকাশ পেয়েছে তা হিমালয় দর্শন নামে যথাযথভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এই রচনায় লেখিকা শুধু হিমালয়ের সভাকে দুচোখ ভরে দেখেছেন তা নয়। সেই সঙ্গে হিমালয়ের অন্তরের বিরাজমান শিল্পী স্বয়ং ঈশ্বরকেও অনুভব করেছেন।


চ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১। লেখিকা কোথায় স্কুল স্থাপন করেন?

ক) সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল

খ) রোকেয়া মেমোরিয়াল স্কুল

গ) মুসলিম আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়

ঘ) রোবোয়া ইনস্টিটিউশন

উত্তর:(ক) সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল


২। হিমালয় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে লেখিকা ও তার সঙ্গীরা প্রথমে যে স্টেশনে পৌঁছালেন সেটি হল-

ক) জলপাইগুড়ি

খ) কাঠগুদাম

গ) কার্শিয়াং

ঘ) শিলিগুড়ি

উত্তর:(ঘ) শিলিগুড়ি


৩। শিলিগুড়ি থেকে লেখিকা পাহাড়ে চড়েছিলেন-

ক) ড্রাম হিমালয়ম রেলগাড়িতে

খ) ইস্টার্ন হিমালয়ান রেলগাড়িতে

গ) হিমালয়ান রেলগাড়িতে

ঘ) বেঙ্গল হিমালয়ান রেলগাড়িতে

উত্তর:(গ) হিমালয়ান রেলগাড়িতে


৪। লেখিকা নদী বলে ভুল করেছিলেন-

ক) কালো কালো মেঘ দেখে

খ) শ্বেদ কুজ্ঝটিকা দেখে

গ) চায়ের বাগান থেকে

ঘ) রাস্তাঘাট দেখে

উত্তর: শ্বেত কুজ্ঝটিকা দেখে


৫। কার্শিয়াং স্টেশনের উচ্চতা-

ক) ৪৬৬৪ ফুট

খ) ৪৭৬৪ ফুট

গ) ৪৮৬৪ ফুট

ঘ) ৪৯৬৪ ফুট

উত্তর:(গ) ৪৮৬৪ ফুট


৬। কার্শিয়াং স্টেশন থেকে লেখিকার বাসা-

ক) বহুদূরে

খ) অল্প দূরে

গ) বাসে চেপে যেতে হয়

ঘ) আরো উপরে

উত্তর:(খ) অল্প দূরে


৭। এদেশের স্ত্রী লোকেরা ভয় পায় না-

ক) বাঘে

খ) ভাল্লুকে

গ) সাপে

ঘ) জোঁকের

উত্তর:(ঘ) জোঁকের


৮। লেখিকার ভুটিয়ানি চাকরানীর নাম-

ক) বুলি

খ) ভালু

গ) মালু

ঘ)কালু

উত্তর:(খ) ভালু


৯। ঘুটিয়ানীরা মাথা ঢাকে-

ক) রঙিন কাপড় দিয়ে

খ) বিলাতি শাল দিয়ে

গ) চাদর দিয়ে

ঘ) টুপি দিয়ে

উত্তর:(খ) বিলাতি শাল দিয়ে


১০। ভুটিয়ানিদের পেশা-

ক) চাষ করা

খ) রাস্তা প্রস্তুত করা

গ) পাথর বহন করা

ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তর:(গ) পাথর বহন করা


১১। ঘুটিয়ারিরা নিজেদের পরিচয় দেয়-

ক) সমতলবাসী বলে

খ) পাহাড়নি বলে

গ) সাহসিনী বলে

ঘ) অবলা বলে

উত্তর:(খ) পাহাড়নি বলে



ঙ) কমবেশি ২০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও।


১) হিমালয়ে রেল রোড কোথায় শুরু হয়েছে ?

উত্তর:শিলিগুড়ি থেকে হিমালয় রেল রোড শুরু হয়েছে।


২)বেগম রোকেয়া কোন কোন রেলগাড়ির কথা বলেছেন?

উত্তর:বেগম বেগম রোকেয়া তিনরকম রেলগাড়ির কথা বলেছেন-ইস্ট ইন্ডিয়ান গাড়ি, ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলগাড়ি এবং হিমালয়ান রেলগাড়ি।


৩) হিমালয়ান রেলগাড়ির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর: হিমালয়ান রেলগাড়ি ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলগাড়ির থেকেও ছোটো এবং নীচু। তাই যাত্রীরা চলার সময়ও অনায়াসে ওঠা-নামা

করতে পারে।


৪) সবচেয়ে ছোটো রেলগাড়ির নাম কী?

উত্তর: সবচেয়ে ছোটো রেলগাড়ির নাম হিমালয়ান রেলগাড়ি।


৫) সবচেয়ে বড়ো রেলগাড়ির নাম কী?

উত্তর: সবচেয়ে বড়ো রেলগাড়ির নাম ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলগাড়ি।


৬) রেলগাড়ি গুলি দেখতে কেমন?

উত্তর: ছোটো খেলনা গাড়ির মতো রেলগাড়িগুলি খুব নীচু। ইচ্ছা করলেই লোক চলন্ত গাড়িতেই ওঠা-নামা করতে পারে।


৭) লেখিকারা সমুদ্র থেকে কত হাজার ফিট উপরে উঠেছিলেন।

উত্তর: লেখিকারা সমুদ্র থেকে তিন হাজার ফিট উপরে উঠেছিলেন।


৮)'সহসা নদী বলিয়া ভ্রম জন্মে।-কাকে নদী

বলে ভুল হয়?

উত্তর:শিলিগুড়ি থেকে কারসিয়ং যাওয়ার পথে নীচের উপত্যকায় সাদা কুয়াশা দেখে লেখিকার নদী বলে ভুল হয়েছিল।


৯)লেখিকা বেগম রোকেয়া 'ধরণির সীমন্ত' বলে কাকে মনে করেছেন?

উত্তর:কারসিয়ং যাওয়ার পথের দু-পাশে সবুজ চা বাগানের মাঝখান দিয়ে পায়ে-হাঁটা সরু পথকেই লেখিকা ধরণির সীমন্ত বলে মনে করেছেন।


১০)'বসুমতীর ঘন কেশপাশ'-বসুমতী কে এবং কাকে ‘ঘন কেশপাশ বলা হয়েছে?

উত্তর: বসুমতী' হল পৃথিবী। আর নিবিড় শ্যামল বনকে এ বসুমতীর ‘ঘন কেশপাশ' বলে,লেখিকার মনে হয়েছে।


১১)জলপ্রপাত গুলিকে দেখে লেখিকার কী মনে হয়েছিল?

উত্তর:পাহাড়ি পথের বুক চিরে নেমে আসা ঝরনাগুলি দেখে লেখিকার সহসা বিশ্বাস হচ্ছিল না যে এমনই কোনো ঝরনা জাহ্নবীর উৎস।


১২)কারসিয়ং স্টেশনের উচ্চতা কত?

উত্তর:কারসিয়ং স্টেশনের উচ্চতা ৪,৮৬৪ ফিট।


১২)পার্বত্য বসন্তকাল কাকে বলে?

উত্তর:বছরের যে-সময়ে কারসিয়ং-এ শীতও বেশি থাকে না আবার গরমও অনুভূত হয় না, তাকে পার্বত্য বসন্তকাল বলে।


১৩) 'স্বচক্ষে দেখলাম ভারী আনন্দ হইল'- কী দেখে এইরূপ আনন্দ?

উত্তর: লেখিকা বেগম রোকেয়া স্বচক্ষে ২০-২৫ ফুট উঁচু বিশাল ঢেঁকিগাছ দেখে খুব আনন্দিত হয়েছিল।


১৪)পাহাড়ের স্ত্রীলোকেরা কীসে ভয় পায় না?

উত্তর:পাহাড়ের স্ত্রীলোকেরা জোঁক দেখলে ভয় পায় না।


১৫)ভুটিয়ানিদের ঘাগরার বিশেষত্ব কী?

উত্তর:ভুটিয়ানিদের কোমরে একখণ্ড কাপড় জড়ানো থাকে আর তারা সাত গজ লম্বা কাপড়কে ঘাগরার মতো করে পরে।


১৬)ভুটিয়ানিরা গায়ে ও মাথায় কী পরে?

উত্তর:ভুটিয়ানিরা গায়ে জ্যাকেট পরে ও বিলিতি শাল দিয়ে মাথা ঢেকে রাখে।


১৭)ভুটিয়ানিরা কীভাবে পেটের ভাত জোগাড় করে?

উত্তর:ভুটিয়ানিরা পুরুষদের উপার্জনের প্রত্যাশা না-করে পার্বত্য রাস্তায় পাথর বহন করে নিজেদের পেটের ভাত জোগাড় করে।


১৮)‘পাহাড়নি' কারা?

উত্তর: ভুটিয়ানিরা নিজেদের ‘পাহাড়নি’ পরিচয় দিয়ে থাকেন।


১৯)সমতলের মানুষদের ভুটিয়ানিরা কী বলে?

উত্তর সমতলের মানুষদের ভুটিয়ানিরা ‘নীচেকা আদমি' বলে।


২০)'এখন সে সাধও পূর্ণ হইল'- কোন সাধ পূর্ণ হল?

উত্তর:লেখিকার পাহাড় দেখবার সাধ ছিল। এখানে সেই সাধ পূর্ণ হওয়ার কথা বলা হয়েছে।


২১)'ঈশ্বরের নিকট কৃতজ্ঞ হইয়াছি- লেখিকার এরূপ মন্তব্যের কারণ কী?

উত্তর: ঈশ্বরসৃষ্ট মহাবিশ্বের আশ্চর্য সৌন্দর্যে মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েই লেখিকা স্রষ্টার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


ঙ) কমবেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও।


১)'পথের দুই ধারে মনোরম দৃশ্য'- কোন পথের কথা বলা হয়েছে? মনোরম দৃশ্যের বর্ণনা দাও।

উত্তর: বেগম বোকেয়া রচিত ‘হিমালয় দর্শন' প্রবন্ধে বর্ণিত শিলিগুড়ি থেকে কারসিয়ং যাওয়ার পথের কথা এখানে বলা হয়েছে।

* খেলনা গাড়ির মতো সুন্দর ছোটো টেনে করে লেখিকা যখন পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ ধরে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠছিলেন, তখন পথের দু-ধারে কোথাও অতি উচ্চ চূড়া আবার কোথাও নিবিড় অরণ্য তিনি দেখেছিলেন। উপর থেকে নীচের উপত্যকায় অপরূপ কুয়াশা দেখে তাকে নদী বলে মনে হচ্ছিল। পাহাড়ের ঢালে সবুজ চা বাগান আর ঝরনা পথের সৌন্দর্যকে মনোরম করে তুলেছিল।


২)‘এদেশের স্ত্রী লোকেরা জোঁক দেখিলে ভয় পায় -লেখিকা কাদের কথা বলেছেন? জোঁক সম্পর্কে তাদের অভিমত কী?

উত্তর: ‘হিমালয় দর্শন' প্রবন্ধে লেখিকা বেগম রোকেয়া উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কারসিয়ং-সংলগ্ন হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের

মহিলাদের কথা প্রশ্নের এই অংশে বলেছেন।

* লেখিকাদের ভুটিয়া চাকরানি ভালুর কথায় জানা যায়-জোঁক তেমন ক্ষতি করতে পারে না, তারা কেবল রক্ত শোষণ করেই চলে যায়। অর্থাৎ জোঁক সম্পর্কে উক্ত অঞ্চলের মহিলারা কোনোভাবেই ভীত নয়। আসলে বিপৎসংকুল অরণ্যময় পাহাড়ি অঞ্চলে সাপ,জোঁকের দরাজ বিচরণ,আর জোঁক ততটা বিপজ্জনক নয় বলেই পাহাড়নিরা জোঁক দেখলে ভয় পায় না।


৩)'প্রভু অনেকগুলি চক্ষু দেন নাই কেন?' –উৎসসহ বক্তার এমন আক্ষেপের কারণ আলোচনা করো।

উত্তর:‘হিমালয় দর্শন' প্রবন্ধের লেখিকা বেগম রোকেয়া। পূর্বে সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন লেখিকা আর এখন পর্বতের রূপদর্শনে তৃপ্ত হয়ে ভেবেছিলেন তাঁর সৌন্দর্যদর্শনের স্বাদ মিটেছে। কিন্তু তিনি বক্তার মনোভাব অনুভব করেন, যতই দেখছেন ততই দর্শনপিপাসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রত্যেকটি ঝরনা, প্রত্যেকটি শৃঙ্গ বলে ‘আমায় দেখ’। মাত্র দুটি চোখের দ্বারা ঈশ্বরের সৃষ্টি-সৌন্দর্যের খানিকটামাত্র দেখা সম্ভব বলে তাঁর মনে হয়েছে, তাই তিনি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।


৪)‘ঈশ্বরই প্রশংসার যোগ্য'- বক্তার এরূপ মন্তবের কারণ আলোচনা করো।

উত্তর:হিমালয়ের পার্বত্য-প্রকৃতির সৌন্দর্য, বিশেষত অস্ত রবির কিরণে শৃঙ্গগুলির রূপ এবং ঝরনার কলতানে ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধের লেখিকা বেগম রোকেয়া মুগ্ধ। তিনি উপলব্ধি করেন হিমালয় কত বৃহৎ ও মহান। পরক্ষণেই তার বক্তার মন্তব্যের কারণ মনে হয় মহাশিল্পী ঈশ্বরের সৃষ্ট এ বিশ্বে হিমালয় কত ক্ষুদ্র। কয়েকটি কণ্ঠস্থ মন্ত্র উচ্চারণ করে এই মহাশিল্পীর উপাসনা করা যায় না। অন্তরের শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার শিল্পীর সৃষ্টিকে অনুভব করতে হয়। সৃষ্টির সকল প্রশংসা তাই সৃষ্টিকর্তাই পাওয়ার যোগ্য বলে লেখিকা মনে করেছেন।


চ) কম-বেশি ১৫০ টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও।


১) 'এখানকার বায়ু পরিষ্কার ও হালকা'- এখানকার বলতে কোন স্থানের কথা বলা হয়েছে ? সেখানকার জলহাওয়ার পরিচয় দাও।

উত্তর:'হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধে বেগম রোকেয়া ‘এখানকার’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তা দিয়ে বোঝানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার পার্বত্য শহর কারসিয়ংকে। লেখিকা শিলিগুড়ি থেকে হিমালয়ান রেলগাড়িতে চেপে এই শহরে পৌঁছেছিলেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৮৬৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ।

* লেখিকা কারসিয়ং-এর আবহাওয়াকে "পার্বত্য বসন্ত" নামে অভিহিত করেছেন। কারণ তখনকার সময়ে সেখানে neither প্রচণ্ড শীত ছিল, না রোদের প্রখরতায় গ্রীষ্মকাল অনুভব করা যাচ্ছিল। আবহাওয়া ছিল অত্যন্ত স্নিগ্ধ, মনোরম ও আরামদায়ক।বাতাস ছিল একদম পরিষ্কার, হালকা ও স্বাস্থ্যকর। যদিও সূর্যকিরণ কিছুটা উজ্জ্বল ও কড়া ছিল, কিন্তু ঠান্ডা বাতাসে তা বেশ সহনীয় ও আরামদায়ক মনে হয়েছে লেখিকার কাছে।

সেখানকার জলও লেখিকার দৃষ্টিতে বেশ ভিন্নধর্মী। দেখতে একেবারে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার, যদিও তা সরাসরি পানযোগ্য নয় বলে লেখিকা ও তাঁর সফরসঙ্গীরা ফিলটারে ছেঁকে জল পান করতেন। এলাকায় কূপ,নদী কিংবা পুকুর না থাকায় ঝরনার জলই ছিল মূল ভরসা। ঝরনার জল ছিল ঠান্ডা, সুপেয় এবং দেখতে স্বচ্ছ।

লেখিকা বর্ণনা করেন, প্রতিদিন বিকেলে মেঘ ও রোদের লুকোচুরি খেলা চলে। অস্তগামী সূর্যের রশ্মি পশ্চিম আকাশে সোনার আভা ছড়িয়ে দেয়, যা মেঘের গায়ে পড়ে এক অপূর্ব দৃশ্য তৈরি করে। এই অনুপম দৃশ্যাবলি লেখিকার মনকে আপ্লুত করেছে। প্রকৃতির এমন নিরবচ্ছিন্ন সৌন্দর্য ও স্বস্তিদায়ক জলবায়ু তাঁকে মুগ্ধ করে তুলেছিল।

এই জন্যেই লেখিকা মনে করেন,এমন প্রাকৃতিক পরিবেশ কেবল বসন্তকালেই দেখা যায়। আর এ কারণেই তিনি কারসিয়ং-এর জলহাওয়াকে "পার্বত্য বসন্ত" বলে চিহ্নিত করেছেন। এই শান্ত, নির্মল ও সুস্থ পরিবেশে মানুষের মন সহজেই সতেজ ও আনন্দিত হয়ে ওঠে।


২)'এদেশের স্ত্রী-লোকেরা জোঁক দেখিলে ভয় পায় না।'– কারা,কেন জোঁককে ভয় পায় না ? তাদের পোশাক ও জীবিকার পরিচয় দাও।

উত্তর: বেগম রোকেয়ার লেখা ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে 'এদেশের স্ত্রী-লোকেরা' বলতে লেখিকা বোঝাতে চেয়েছেন ভুটিয়ানিদের-যারা হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করে। ভুটিয়ানিরা একপ্রকার পাহাড়ি জনগোষ্ঠী, যারা কঠোর পরিশ্রম ও সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।

জোঁক সাধারণত ভেজা ও ছায়াযুক্ত অঞ্চলে দেখা যায়, বিশেষত পাহাড়ি জায়গায়। সমতলের মানুষেরা যেখানে জোঁক দেখলে আতঙ্কে পড়ে যায়, সেখানে ভুটিয়ানিরা জোঁককে কোনো ভয়ঙ্কর প্রাণী বলে মনে করে না। তাদের মতে, জোঁক শুধু রক্ত চুষে নেয়, এর চেয়ে বেশি ক্ষতি করে না। এই সরল বিশ্বাস ও সাহস থেকেই তারা জোঁককে ভয় পায় না। আসলে তাদের জীবনে এমন অনেক বড় বড় সংগ্রাম ও কষ্ট আছে যে, জোঁক তাদের কাছে মামুলি বিষয়।

তাদের পোশাক-পরিচ্ছদের দিক থেকে দেখা যায়, তারা প্রায় সাত গজ লম্বা কাপড় দিয়ে ‘ঘাঘরার’ মতো পোশাক পরেন। কোমরে আরেক খণ্ড কাপড় জড়িয়ে নেন। গায়ে থাকে মোটা জ্যাকেট এবং মাথায় বিলাতি শাল জড়ানো থাকে। এই পোশাক একদিকে যেমন শ্রমের উপযোগী, তেমনি ঠান্ডা থেকেও সুরক্ষা দেয়।

ভুটিয়ানিদের জীবিকা ছিল অত্যন্ত কষ্টকর। তারা পাহাড়ি পথে ভারী বোঝা বহন করত, যা সমতলের মানুষের জন্য কল্পনাতীত। এমনকি মহিলারাও পুরুষদের মতো কাঁধে বা পিঠে বোঝা নিয়ে অনায়াসে ওঠানামা করত। পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজেও তারা অংশ নিত। পাথর বহন করা, কাঠ কাটা, কিংবা ছোট ছোট মেয়েদেরও রাস্তা তৈরির কাজে দেখতে পাওয়া যেত।

এই নারীরা সংসারে পুরুষদের উপর নির্ভর করে না। তারা নিজেরাই উপার্জন করে, কঠোর পরিশ্রম করে সংসার চালায়। তাদের জীবনযাত্রা থেকেই বোঝা যায়, তারা সাহসী, পরিশ্রমী ও আত্মনির্ভরশীল। এ কারণেই লেখিকা তাদের সাহস, চরিত্র ও শক্তিকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তুলে ধরেছেন।


৩) 'ইহারা উদরারের জন্য পুরুষদের প্রত্যাশী নহে।'-এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের জীবনযাত্রার স্বরূপ লেখক কীভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন?

উত্তর: বেগম রোকেয়ার লেখা ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধ থেকে গৃহীত। এখানে 'ইহারা' বলতে লেখিকা বোঝাতে চেয়েছেন হিমালয়ের ভুটিয়া মহিলাদের। তারা এমন এক জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত যারা পাহাড়ি পরিবেশে কঠিন জীবনযাপন করে এবং তাদের জীবনে সংগ্রাম, পরিশ্রম ও আত্মনির্ভরতা—এই তিনটি বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ফুটে উঠেছে।

ভুটিয়া মহিলারা সংসার চালানোর জন্য পুরুষদের উপর নির্ভর করে না। তারা নিজেরাই জীবিকা অর্জনের পথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে। লেখিকা লক্ষ্য করেন, পাহাড়ি অঞ্চলে এবড়োখেবড়ো রাস্তায় দুই-এক মন ওজনের বোঝা পিঠে নিয়ে তারা অনায়াসে হাঁটাচলা করে। সেই পথ দেখলে সমতলের সাহসী মানুষদেরও সাহস হারিয়ে যেতে পারে, অথচ ভুটিয়া মহিলারা সেই পথে অবলীলায় চলাফেরা করে।

লেখিকা উল্লেখ করেন, পুরুষেরা যেখানে অনেক সময় পাথর বহনের কাজ এড়িয়ে চলে, সেখানে নারীরা কাঁধে পাথর তুলে পাহাড়ে ওঠে-নাম করে। এমনকি কিশোরী বালিকাদেরও এই পরিশ্রমে অংশ নিতে দেখা যায়। এতে বোঝা যায়, কঠোর পরিশ্রম তাদের জীবনের এক অঙ্গ। তাদের দেহে যেমন শক্তি, মনে তেমন সাহস ও আত্মসম্মানবোধ।

এই দৃশ্য দেখে লেখিকার মনে প্রশ্ন জাগে-সমাজ যাদের ‘অবলা’ বলে চিহ্নিত করে, তারা কি সত্যিই অবলা? বরং এইসব ভুটিয়া নারীরা তাদের শক্তি,সাহস ও শ্রমের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, নারী পুরুষের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়। বরং পরিশ্রমের দিক থেকে অনেক ক্ষেত্রে তারা পুরুষদের থেকেও এগিয়ে।

লেখিকার বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি ভুটিয়া নারীদের স্বাবলম্বী, সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী রূপে দেখেছেন এবং নারী সমাজের প্রতি প্রচলিত ‘দুর্বল’ বা ‘অবলা’ তকমাকে নস্যাৎ করেছেন। এই প্রবন্ধে পাহাড়ি নারীদের জীবনযাত্রা নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে চিত্রিত হয়েছে।


CONTENTS:


আরো পড়ুন:

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের প্রশ্নউত্তর Click Here 

ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

 দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

 নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here

 হিমালয় দর্শন গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here 

ভাঙার গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here

  আবহমান কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

 আমরা কবিতা প্রশ্ন উত্তর click Here 

খেয়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here

আকাশের সাতটি তারা কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here 

নিরুদ্দেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর click here

রাধারানী গল্পে প্রশ্ন উত্তর Click Here 

চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর part-1 click Here  

চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর part-2 click 


বাংলা সহায়ক পাঠ:

ব্যোমযাত্রীর ডায়েরির প্রশ্ন উত্তর Click Here 

কর্ভাস গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here 

স্বর্ণপর্ণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর click here 



Teles of Bhola grandpa Lesson1 Unit 1 Click Here

Teles of Bhola grandpa Unit 2 Click Here

All about a Dog Lesson 2-Unit -1 -Click Here

All about a Dog Lesson 2 Unit 2 Click Here

Autumn poem Lesson 3 Part 1 Click Here


A Day in the zoo Lesson 4 Part 1 Click Here



All Summer in a Day Lesson 5 part 1 Click Here


আবহমান কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
















Post a Comment

0 Comments