ক) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন(Type-1) প্রশমান-২
খ) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (Type-2) প্রশ্নমান-৩
গ) রচনাধর্মী বা বর্ণনাধর্মী প্রশ্নোত্তর। প্রশ্নমান-৫
বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কৃতিত্ব নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো: একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার।
ক) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন(Type-1) প্রশমান-২
১)দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত দুটি ঐতিহাসিক নাটকের নাম বলো। নাটকদুটির প্রকাশকাল উল্লেখ করো।
উত্তর:দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত দুটি ঐতিহাসিক নাটক হল 'মেবারপতন' এবং 'সাজাহান'। নাটক দুটি প্রকাশকাল যথাক্রমে-১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে এবং ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে।
২)দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত দুটি পৌরাণিক নাটকের নাম বলো।নাটকদুটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়?
উত্তর:দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত দুটি নাম হলো 'পাষাণী' ও 'সীতা'।১৯০০ খ্রিস্টাব্দে 'পাসাণী' নাটক রচিত হয় এবং ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে 'সীতা' নাটক রচিত হয়।
৩) দ্বিজেন্দ্রলাল এর দুটি সামাজিক নাটকের নাম বলো।নাটকদুটি প্রকাশকাল উল্লেখ করো।
উত্তর:দ্বিজেন্দ্রলাল এর দুটি সামাজিক নাটকের নাম হলো- 'পরপারে' ও 'বঙ্গনারী'। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে 'পরপারে' সামাজিক নাটক রচিত হয় এবং ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে 'বঙ্গনারী' সামাজিক নাটক রচিত হয়।
খ) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (Type-2) প্রশ্নমান-৩
১)দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের পৌরাণিক নাটক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।
উত্তর:পৌরাণিক নাটকে দ্বিজেন্দ্রলাল অলৌকিক ঘটনা ও ভক্তিরসের আশ্রয় না নিয়ে আধুনিক মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন এবং এই নাটকগুলিতে দেবত্ব অপেক্ষা মনুষ্যত্বের জয়গান গাওয়া হয়েছে। 'সীতা' (১৯০৮), ‘পাষাণী' (১৯০০) ও ‘ভীষ্ম' (১৯১৪) তাঁর রচিত পৌরাণিক নাটক, ‘পরপারে' (১৯১২) ও ‘বঙ্গনারী’ (১৯১৬) নামে দুখানি পারিবারিক ও সামাজিক নাটক। এই ধরনের নাটকগুলি জনপ্রিয়তা লাভ করলেও নাট্যগুণের দিক থেকে উন্নতমানের নয়। তিনি অসাধারণ কৃতিত্ব ও নাট্যপ্রতিভার পরিচয় রেখেছেন।
২)দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ঐতিহাসিক নাটকের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।
উত্তর: দ্বিজেন্দ্রের ঐতিহাসিক নাটকের ক্ষেত্রে তার তারাবাঈ,(১৯০৩), 'প্রতাপসিংহ' (১৯০৫), 'দুর্গাদাস' (১৯০৫), 'নূরজাহান' (১৯০৮), মেবারপতন' (১৯০৮), 'সাজাহান' (১৯০৯), ঐতিহাসিক নাটক 'চন্দ্ৰগুপ্ত' (১৯১১), 'সিংহল বিজয়' (১৯১৫) প্রভৃতি ঐতিহাসিক নাটকের অসামান্য জনপ্রিয়তা ও মঞ্চসাফল্য তাঁর খ্যাতিকে বাংলার বাইরেও পৌঁছিয়ে দেয়। তিনি বাংলা নাট্যসাহিত্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক নাট্যকার হিসেবে আখ্যাত হন এবং অলংকার-সমৃদ্ধ শব্দঝংকার তাঁর নাট্যসংলাপের বিশেষ সম্পদ। এই শ্রেণির নাটকে তাঁর স্বদেশপ্রেমের সার্থক বিকাশ ঘটেছে।
৩)দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সামাজিক নাটক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।
উত্তর:দ্বিজেন্দ্রলাল রায় বাংলা নাট্যসাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর নাটকগুলো সাধারণ মানুষের জীবনের বেদনাবোধ, সামাজিক অবিচার এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন। বিশেষ করে তাঁর সামাজিক নাটকগুলোতে তিনি নারীর স্বাধীনতা,পুরুষের কর্তব্য,শিক্ষা, এবং সমাজে নৈতিকতার প্রশ্ন তোলেন। "বামাক্ষ্যাপা", "মীর্জা ও সালেম",'নাগমণি' ইত্যাদি নাটকে তিনি সামাজিক অবস্থা এবং মানবিক দ্বন্দ্বের গভীর বিশ্লেষণ করেছেন। দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকগুলোতে চরিত্রের অন্তর্নিহিত সংকট,এবং সমাজের সাথে তাদের সম্পর্কের জটিলতা স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। এই নাটকগুলো বাংলা নাট্যজগতকে নতুন দিশা দিয়েছে।
গ) রচনাধর্মী বা বর্ণনাধর্মী প্রশ্নোত্তর। প্রশ্নমান-৫
১)বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কৃতিত্ব নিরূপণ করো।
উত্তর: দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকগুলিকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে-
ক) প্রহসন: সমাজবিভ্রাট, কল্কি অবতার, বিরহ, ত্র্যহস্পর্শ, প্রায়শ্চিত্ত, পুনর্জন্ম, আনন্দবিদায়।
খ)পৌরাণিক নাটক:পাষাণী, সীতা এবং ভীষ্ম।
গ)সামাজিকনাটক: দ্বিজেন্দ্রলালের দুটি সামাজিক
নাটক-পরপারে এবং বঙ্গনারী।
ঘ)ঐতিহাসিক নাটক: দুর্গাদাস, নূরজাহান, মেবার পতন, সাজাহান প্রভৃতি দ্বিজেন্দ্রলালের উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক নাটক।হিন্দু যুগের পটভূমিতে তিনি রচনা করেছেন চন্দ্রগুপ্ত এবং সিংহল বিজয়।
ঙ)অপেরাধর্মী নাটক:দ্বিজেন্দ্রলালের একটিমাত্র অপেরাধর্মী নাটক সোরাব-রুস্তম। বাংলা নাটকে দ্বিজেন্দ্রলালের প্রধান কৃতিত্ব নাট্যভাষা ও
গদ্য-সংলাপ সৃষ্টিতে। তিনি তাঁর নাটকে স্বগতোক্তি বাদ দিয়ে চরিত্রদের অন্তর্ভুদ রচনার মাধ্যমে নাট্য-আবেদন সৃষ্টিতে সচেষ্ট থেকেছেন। ভক্তি প্রাধান্য এবং আবেগসর্বস্বতা থেকে বাংলা নাটককে মুক্ত করার কৃতিত্ব দ্বিজেন্দ্রলালেরই প্রাপ্য। নাটকের সংলাপে কাব্যগুণ সংযোগ করাই হল তাঁর অন্যতম প্রধান কৃতিত্ব।
২)দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ঐতিহাসিক নাটকের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো।
উত্তর:দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ঐতিহাসিক নাটকের বৈশিষ্ট্য বেশ কিছু দিক থেকে বিশেষ ও স্বাতন্ত্র্যসূচক। তাঁর নাটকগুলোতে ইতিহাস, নাট্যকলার বিভিন্ন রূপ এবং সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। কিছু মূল বৈশিষ্ট্য হলো:
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটকগুলো মূলত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি এবং চরিত্রগুলির উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তিনি বাঙালি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং ঘটনাবলিকে নাটকের কেন্দ্রে তুলে ধরেছেন, যেমন "বীর বিক্রম", "চন্দ্রশেখর" ইত্যাদি।
নাট্যকলার আধুনিকতা: তিনি ঐতিহাসিক বিষয়বস্তুকে আধুনিক নাট্যকলার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তার নাটকে পূর্ববর্তী নাট্যধারার চেয়ে উন্নত পটভূমি, চরিত্র ও প্লটের ব্যবহার ছিল।
মুক্তির চেতনা ও জাতীয়তাবাদ: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটকগুলোতে জাতীয়তা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মানুষের অধিকারকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই নাটকগুলো বিপ্লবী চেতনা ও স্বাধীনতার বার্তা প্রচার করেছে।
প্রতিক্রিয়া এবং চরিত্র নির্মাণ: তাঁর নাটকে ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোর প্রতিক্রিয়া এবং মনস্তত্ত্ব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা নাট্যরুচি এবং দর্শকদের চিন্তা জাগ্রত করেছিল।
আবেগপ্রবণতা: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটকে চরিত্রগুলোর আবেগ এবং দুর্দশা অত্যন্ত বাস্তব এবং তীব্রভাবে প্রকাশিত হয়েছে, যা নাটকটিকে আরও জীবন্ত এবং প্রাসঙ্গিক করে তোলে।
এছাড়া, তাঁর নাটকগুলোতে সামাজিক এবং রাজনৈতিক বার্তা ছিল, যা তখনকার যুগে বাঙালি সমাজের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করতে সহায়ক ছিল।
আরো পড়ুন:
একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম সেমিস্টার:
গল্প
পুঁইমাচা গল্পের mcq প্রশ্ন উত্তর click here
বিড়াল প্রবন্ধের mcq প্রশ্ন উত্তর click here
একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার:
গল্প:
ছুটি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click here
তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর click here
কবিতা:
ভাব সম্মিলন কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click here
লালন শাহ ফকিরের গান কবিতার প্রশ্ন
উত্তর Click here
নাটক:
আগুন নাটকের প্রশ্ন উত্তর click here
পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ:
পঞ্চতন্ত্র
বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর click here
আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধ প্রশ্ন উত্তর Click here
পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click here
আড্ডা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click here
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারা:
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান আলোচনা করো। Click here
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো। Click here
বাংলা কাব্য সাহিত্য মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান Click here
বাংলা কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তী অবদান click here
বাংলা নাট্য সাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান Click here
বাংলা নাট্য সাহিত্যে বিজন ভট্টাচার্যের অবদান Click here
বাংলা গদ্যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান Click here
বাংলা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথের অবদান Click here
বাংলা নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান Click here
বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান Click here
বাংলা উপন্যাসে শরৎচন্দ্রের অবদান click here
মানস- মানচিত্র অবলম্বনে:
ইন্টারনেট আধুনিক জীবন সম্পর্কে প্রবন্ধ রচনা Click here
বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রবন্ধ রচনা Click here
শিক্ষায় ও চরিত্র গঠনে খেলাধুলো রচনা Click here
রক্তদান জীবনদান প্রবন্ধ রচনা Click here
বিজ্ঞাপন ও আধুনিক জীবন রচনা Click here
চরিত্র গঠনে খেলাধুলার ভূমিকা Click here
লৌকিক সাহিত্যের বিভিন্ন দিকে:
লোককথা Click here
ধাঁধা Click here
ছড়া Click here
দ্বাদশ শ্রেণীর তৃতীয় সেমিস্টার
আদরিনী গল্পের mcq প্রশ্ন উত্তর click here
অন্ধকার লেখাগুচ্ছ কবিতার mcq প্রশ্ন উত্তর
দিগ্বিজয়ের রূপকথা কবিতার mcq প্রশ্ন উত্তর Click here
বাঙ্গালা ভাষা প্রবন্ধের mcq প্রশ্ন উত্তর Click here
পোটরাজ গল্পের mcq প্রশ্ন উত্তর Click here
0 Comments