আদরিনী গল্পের বিষয়বস্তু।আদরিনী গল্প প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়।


আদরিনী গল্পের বিষয়বস্তু।আদরিনী গল্প প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়।

সূচিপত্র:

ক) কবি পরিচিতি

খ) সারসংক্ষেপ

গ) নামকরণ

ঘ) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:(MCQ)


ক) কবি পরিচিতি:

১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের ৩ ফেব্রুয়ারি পূর্ব-বর্ধমান জেলার ধাত্রীগ্রামে তাঁর জন্ম হয়। পিতার নাম জয়গোপাল মুখোপাধ্যায়। বাবার রেলে চাকরির সূত্রে তাঁকে ঝাঝা,জামালপুর,দিনদার প্রভৃতি স্থানে থাকতে হয়। সেই সময় ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে প্রভাতকুমার প্রবেশিকা পরীক্ষা দেন। তারপরে এফ.এ এবং বি.এ পরীক্ষা দেন। সরকারি ক্লার্কশিপ পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হন। ‘প্রদীপ' পত্রিকায় ‘সিমলা শৈল' নামে তিনি একটি প্রবন্ধ রচনা করেন। সিমলা থেকে প্রভাতকুমার বদলি হন কলকাতায় ডিরেক্টর জেনারেল অফ টেলিগ্রাফ অফিসে। সেই সময় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। তারপর ‘ভারতী' পত্রিকায় তিনি লিখতে শুরু করেন। তখন পত্রিকার সম্পাদিকা ছিলেন স্বর্ণকুমারীর কন্যা সরলাদেবী। তাঁর সঙ্গে প্রভাতকুমারের বিবাহ ঘটার সম্ভাবনা দেখা দেয়। দেবেন্দ্রনাথের পুত্র সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রভাতকুমারকে আরও যোগ্যতর করে তোলার জন্য বিলেতে ব্যারিস্টারি পড়তে পাঠান। ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে ব্যারিস্টার হয়ে প্রভাতকুমার দেশে ফেরেন। কিন্তু মায়ের অনুমতি না পাওয়ায় সরলাদেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয় না। বিলেত থেকে ফিরে প্রভাতকুমার কিছু দিন দার্জিলিং-এ ছিলেন। সেখানে আইন ব্যাবসায়ের সুযোগ না থাকায় ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে রংপুর চলে যান। সেখানে চার বছর প্র্যাকটিস করেন। তারপর গয়ায় কর্মস্থান বদল করে সেখানে আট বছর থাকেন।

সাহিত্যচর্চা:

১৩২০ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে নাটোরের অধিপতি জগদীন্দ্রনাথ রায়ের সঙ্গে প্রভাতকুমারের ঘনিষ্ঠতা হয়। তাঁর কর্মজীবনের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয় সাহিত্যিক—তাঁর প্রথম রচনা ‘ভারতী’ ও ‘বালক’ পত্রিকায় ১২৯৭ বঙ্গাব্দের ‘চিরনব’ নামে একটি কবিতা (১৮৯০)। রাধারাণী দেবী ছদ্মনামে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে প্রভাতকুমার ‘পূজার চিঠি’ গল্প লিখে ‘কুন্তলীন' পুরস্কার পান। তারপরে ‘প্রদীপ' পত্রিকায় ‘শ্রীবিলাসের দুর্বুদ্ধি’ নামে প্রথম গল্প লেখেন। প্রথম গল্পগ্রন্থ 'নবকথা' (১৮৯৯) প্রকাশের পর থেকেই তিনি বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্ট ছোটোগল্পকার রূপে খ্যাতি অর্জন করেন। এ ছাড়া ভারতী, প্রবাসী, দাসী, মানসী, সাহিত্য ইত্যাদি বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর লেখা ছোটোগল্প ও উপন্যাস পাঠকমনে সাড়া জাগিয়েছিল। প্রভাতকুমার নাটোরাধিপতির চেষ্টায় ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল কলেজের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ প্রভাতকুমারকে সহকারী সভাপতি নির্বাচন করে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল-নবকথা’ (১৮৯৯)‘ষোড়শী’ (১৯০৬), ‘দেশী ও বিলাতি (১৯০৯) ‘গল্পাঞ্জলি' (১৯১৩)‘গল্পবীথি' (১৯১৬) ‘পত্রপুষ্প' (১৯১৭)‘গহনার বাক্স ও অন্যান্য গল্প' (১৯২১)‘হতাশ প্রেমিক ও অন্যান্য গল্প' (১৯২৬)‘যুবকের প্রেম ও অন্যান্য গল্প' (১৯২৮), নূতনবউ ও অন্যান্য গল্প' (১৯২৯)‘জামাতা বাবাজি ও অন্যান্য গল্প (১৯৩১) প্রভৃতি বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।

উপন্যাস-'রমাসুন্দরী' (১৯০৮)'নবীন সন্ন্যাসী' (১৯১২)'রত্নদী (১৯১৫), ‘জীবনের মূল্য' (১৯১৭)‘সিন্দুর কৌটো'(১৯১৯)‘মনে মানুষ' (১৯২২), ‘আরতি' (১৯২৭)‘সুখের মিলন' (১৯২৭)‘সতীর পতি’ (১৯২৮), ‘প্রতিমা' (১৯২৮)ঢ় ‘গরিব স্বামী' (১৯৩০), 'নবদুর্গ (১৯৩০) প্রভৃতি।ব্যঙ্গকাব্য-প্রভাতকুমারের একমাত্র ব্যঙ্গকাব্যটি হল 'অভিশাপ'।প্রবন্ধ-১৯১০ খ্রিস্টাব্দে রচি 'শিল্পাদর্শ' হল-প্রভাতকুমারের একটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ।

জীবনাবসান:

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ৫ এপ্রিল কলকাতায় প্রভাতকুমারে মৃত্যু হয়।


খ)বিষয় সংক্ষেপ:

নগেন ডাক্তার এবং উকিল কুঞ্জবিহারী এরা দুজনেই মোক্তার জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে আসেন। তাঁরা তাঁর কাছ থেকে জানতে চান পীরগঞ্জের মেজবাবুর মেয়ের বিয়েতে তাঁর নিমন্ত্রণ আছে কিনা। তাঁদের এই কথা শুনে জয়রামবাবু রেগে গেলেন এবং বললেন তাঁকে বাদ দিয়ে আপনাদের নিমন্ত্রন পাওয়া অসম্ভব। যাইহোক তাঁরা জয়রামের প্রশংসাই করলেন। কিছুক্ষণ পরই শান্ত গলায় জয়রাম বললেন,নগেন ডাক্তার এবং কুঞ্জ বিহারী উকিলকে বিয়েতে যাবেন কিনা। এই সুযোগে তারা বললেন, ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই-কারণ যাওয়ার পথ খুব দুর্গম-তাছাড়া গাড়ির পথ নেই,গরুর গাড়িতে যাওয়া বা পালকি জোগাড় করা খুব সমস্যার ব্যাপার। তাই মুখুজ্যৈমশাই যদি রাজবাড়ি থেকে একটা হাতি আনিয়ে নিতে পারেন তাহলে খুব সুবিধাই হয়। এই কথা শুনে জয়রামের খুব মনে লাগে। আর জয়রাম সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন মহারাজের বাবার আমল থেকে মোক্তারের কাজ করে আসছি। যাই হোক তিনজনের বিয়ে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো।

পরের দিন রবিবার জয়রামবাবু ভৃত্য কে দিয়ে মহারাজকে হাতির অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠালেন। এদিকে জয় রামবাবু হাতির খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করলেন-এমন সময়ে ভৃত্য ফিরে এসে খবর দেয় মহারাজ হাতি দিতে অস্বীকার করেছেন এবং রাজবাড়ির তরফ থেকে জানানো হয়েছে বিয়েযাবে হাতির বদলে গরুর গাড়িতে। মহারাজের কথা শুনে জয় রামবাবু প্রচন্ড ক্রুদ্ধ হলেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন যে হাতিতেই চড়ে তিনি বিয়ে বাড়িতে যাবেন।

বীরপুরের উমাচরণ লাহিড়ীর কাছ থেকেই ২০০০ টাকা দিয়ে জয়রাম একটি মাদি হাতি কিনে নিয়ম বিধি মেনে বাড়িতে নিয়ে আসেন। হাতিটির নাম রাখা হয় আদরিণী। এই আদরিণীর পিঠে চেপে জয়রাম মুখোপাধ্যায় পীরগঞ্জে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান। ফেরার পথে মহারাজ নরেশচন্দ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাই ছিল তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য।

এরপর পাঁচ বছর কেটে যায় আদালতে ইংরেজি জানা শিক্ষিত মোক্তারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। যার ফলে জয়রামবাবুর নামধম কমতে থাকে এবং আয় অর্ধেক হয়ে যায়। অবসর নিতে চাইলেও নিতে পারেন না। তার কারণ তিন পুত্রের মধ্যে প্রথম দুজন অকর্মণ্য। আর ছোটোটি পড়াশোনা করছে। জয়রামবাবুর ইংরেজি না জানায় মামলা লড়তে খুব অসুবিধা হচ্ছে। একটা খুনের মামলায় আসামির হয়ে সওয়াল করেন জয়রামবাবু এবং তাকে খালাস করতে সাহায্য করেন। ইংরেজ জর্জ মুগ্ধ হয়ে তার পরিচয় জানতে চান এবং তার প্রশংসা করেন। জয়রাম এই প্রশংসায় জর্জকে সালাম করে চিরকালের মত এজ্লাস থেকে বের হয়ে যান।

জয়রামবাবু ধীরে ধীরে পারিবারিক অনটনের শিকার হয়ে পড়েন। বন্ধুরা হাতিটিকে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন কিন্তু জয়রাম সেই প্রস্তাবে রাজি হন না। বিকল্প হিসাবে হাতিটিকে ভাড়া দেওয়ার কথা ভাবেন।

বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় কিন্তু ভাড়া তেমন আসে না। পরিবারের নাতনী কল্যাণী বিবাহযোগ্য হয়ে উঠেছে এই সব মিলিয়ে জয়রাম বাবুর খুব দুশ্চিন্তা। শেষ পর্যন্ত বন্ধুদের কথায় বাধ্য হয়ে বামনহাটের মেলায় আদরিনীকে নিয়ে যাওয়ার আগে জয়রাম নিজের হাতে তাকে রসগোল্লা খাওয়ান। তাকে মেলা দেখে আসতে বলেন।

১০ই জ্যৈষ্ঠ কল্যাণীর বিয়ে ঠিক হয়। এদিকে আদরিনী মেলায় বিক্রি না হওয়ায় বাড়ি ফিরে আসে। আদরিনীকে দেখে বাড়ির লোকজন আনন্দিত হলেও কল্যাণীর বিবাহ কিভাবে হবে এই চিন্তায় মগ্ন। এরপর আদরিনীকে রসূলগঞ্জের মেলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবার আর জয়রাম বিদায় মুহূর্তের তার কাছে যাননি। সে চলে যাওয়ার পরে তার চোখের জলের কথা শুনে জয় রাম তাকে অন্তর্যামী বলে আখ্যা দিয়েছেন। এবং জয়রাম মনে মনে বলেছেন,আমি সন্দেশ,রসগোল্লা নিয়ে নতুন বাড়িতে তার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন।

আদরিনী চলে যাওয়ার পরের দিন বিকেলে একজন কৃষক একটা চিঠি এনে জয়রাম মুখোপাধ্যায়কে দেয়। সেই চিঠিতে তার মধ্যম পুত্র জানিয়েছেন যে বাড়ি থেকে সাত ক্রোশ দূরে আদরিণী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়েছে। মাহুতের চেষ্টার কোনো লাভ হয়নি। আদরিণী প্রায় মৃত্যুর মুখোমুখি। এই অবস্থায় তাকে তাড়াতাড়ি আসার কথা বলেন কারণ আদরিণীর মৃতদেহের একটা জমির বন্দোবস্ত করতে হবে। জয়রাবাবু উদ্বেগের সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যান কিন্তু ততক্ষণে আদরিণী মৃত্যু ঘটেছে। বৃদ্ধ জয় রাম তার মুখের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে কাঁদতে লাগলেন। এইভাবে অভিমান করে চলে গেলি মা এবং নিজেকে এরজন্য দায়ী করেন। যেহেতু তিনি তাকে বিক্রি করতে পাঠিয়েছিলেন। ঠিক দুই মাস পরেই জয়রাম মুখোপাধ্যায় নিজেও মারা যান।


গ) নামকরণ:

সাহিত্যে নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাঠক নামকরণ এর সাহায্যে পাঠ্য বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। নামকরণ কখনো চরিত্র কেন্দ্রিক কখনো ঘটনাকেন্দ্রিক আবার কখনো বা ব্যঞ্জনাধর্মীও হয়ে থাকে। এখানে আদরিণী গল্পটি চরিত্র প্রধান নামকরণের মধ্যে দিয়ে নরেশচন্দ্রের কাছে বিয়েবাড়িতে যাওয়ার জন্য হাতি চেয়ে প্রত্যাখ্যাত জয়রামবাবু। জয়রাম বাবু জেদের বশে উমাচরণ লাহিড়ির কাছ থেকে দু-হাজার টাকা দিয়ে হাতি কেনেন। সেই হাতির নাম রাখা হয় আদরিণী। গল্পের পরবর্তী ঘটনা আবর্তিত হয়েছে আদরিণীকে কেন্দ্র করেই। আদরিণী হয়ে উঠেছে জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের প্রতিবাদের অবলম্বন, আবেগের আশ্রয়। মহারাজা নরেশচন্দ্রের সামনে গিয়ে আদরিণীকে দেখিয়ে পূর্ব-অপমানের  প্রতিশোধ নিয়েছেন জয়রাম মুখুজ্যে। পারিবারিক অনটনের মধ্যেও বন্ধুদের পরামর্শে আদরিণীকে দরিণীকে বিক্রি না করে ভাড়া দিয়ে কিছুটা সমস্যা কাটাবার  চেষ্টা করেছেন জয়রাম। কিন্তু সফল হননি।পারিবারিক পরিস্থিতির কারণে  শেষপর্যন্ত আদরিণীকে বিক্রির সিদ্ধান্তই নিতে হয়েছে তাঁকে। আদরিণীকে বিদায় জানাতে জয়রাম বলেছেন,'আদর , যাও মা , বামুন হাটের মেলা দেখে এসো।' দ্বিতীয়বার তাকে বিদায় দেওয়ার সময়ে জয়রাম আর সামনে যেতে পারেননি। আদরিণী চলে যাওয়ার পরে আপনমনে কাঁদতে থাকেন-মাঝে মাঝে গিয়ে তোকে দেখে আসব। তুই মনে কোনো অভিমান করিসনে মা। এভাবে আদরিণীর মৃত্যুর পরে মাত্র দু-মাস বেঁচেছিলেন জয়রামবাবু। তিনি যা বুঝিয়ে দেয় আদরিণী তাঁর অস্তিত্ব হয়ে উঠেছিল।সেই কারণে আদরিণী গল্পটি যথার্থ ও সার্থক হয়েছে।


ঘ) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো: (MCQ)

১) আদরিনী গল্পটি যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল-

ক) ভারতী

খ) সাধনা

গ) সাহিত্য

ঘ) সবুজপত্র

উত্তর:(গ)সাহিত্য


২) প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় যে ছদ্মনাম লিখে কুন্তলীন পুরস্কার পান-

ক) দধীচি

খ) কালপুরুষ

গ) শ্রীমতি রাধারানী দেবী

ঘ) শ্রীময়ী দেবী

উত্তর:(গ) শ্রীমতি রাধারানী দেবী


৩) জয়রাম মুখোপাধ্যায় পেশায় ছিলেন-

ক)নায়েব

খ) গোমস্তা

গ) মোক্তার

ঘ) কবিরাজ

উত্তর:(গ)মোক্তার


৪) মোক্তার কথাটির অর্থ-

ক)নায়েব

খ) ইজারাদার

গ) মোকদ্দমা চালানোর জন্য নিযুক্ত কর্মচারী

ঘ) মোড়ল

উত্তর:(গ) মোকদ্দমা চালানোর জন্য নিযুক্ত কর্মচারী


৫) যে দুজন ব্যক্তি জয়রামবাবুকে নিমন্ত্রণের খবর দিতে গিয়েছিলেন তাদের একজন নগেন ডাক্তার, অন্যজন-

ক) বনবিহারী বাবু

খ) নিকুঞ্জবিহারী বাবু

গ) বিপিনবিহারী বাবু

ঘ) কুঞ্জবিহারী বাবু

উত্তর:(ঘ) কুঞ্জবিহারী বাবু


৬)কুঞ্জবিহারীবাবু পেশায় ছিলেন-

ক)ডাক্তার

খ)উকিল

গ)নায়েব

ঘ)গায়েন

উত্তর:(খ) উকিল


৭)নগেন ডাক্তার এবং কুঞ্জবিহারী উকিল যেখান থেকে বিয়ের নিমন্ত্রণ পেয়েছিল,তা হল-

ক) নেপালগঞ্জ

খ) হিঙ্গলগঞ্জ

গ) যোগেশগঞ্জ

ঘ)পীরগঞ্জ

উত্তর:(ঘ) পীরগঞ্জ


৮)পীরগঞ্জের বাবুদের বাড়িতে যার বিয়ে ছিল-

ক)মেজোবাবুর মেয়ের

খ)বড়োবাবুর মেয়ের

গ)বড়োবাবুর ছেলের

ঘ)সেজোবাবুর ছেলের

উত্তর:(ক) মেজবাবুর মেয়ের


৯)পীরগঞ্জে মেজোবাবুর মেয়ের বিয়ে ছিল-

ক)রবিবার

খ)সোমবার

গ) মঙ্গলবার

ঘ)শুক্রবার

উত্তর:(ক) রবিবার


১০)মেজোবাবুর মেয়ের বিয়েতে বাইজি এসেছিল-

ক)কলকাতা থেকে

খ)লখনউ থেকে

গ)দিল্লি থেকে

ঘ)বেনারস থেকে

উত্তর:(ঘ) বেনারস থেকে


১১)'পথ নেই।'-যার পথ নেই-

ক) গোরুর গাড়ি চলার

খ)ঘোড়ার গাড়ি চলার

গ)পালকি চলার

ঘ)পায়ে চলার

উত্তর:(খ) ঘোড়ার গাড়ি চলার


১২)মহারাজের নাম ছিল-

ক)নরেশচন্দ্র রায়চৌধুরী

খ)তপেশচন্দ্র রায়চৌধুরী

গ)নরেন্দ্র রায়চৌধুরী

ঘ)তপেন্দ্র রায়চৌধুরী

উত্তর:(ক) নরেশচন্দ্র রায়চৌধুরী


১৩)জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের বয়স-

ক)৫০ ছুঁই ছুঁই

খ)৫০ অতিক্রান্ত

গ)৬০

ঘ)৭০ এর আশেপাশে

উত্তর:(খ) ৫০ অতিক্রান্ত


১৪)জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের আদিবাস ছিল-

ক) বরিশাল

খ) খুলনা

গ) যশোহর

ঘ) ঢাকা

উত্তর:(গ)যশোহর


১৫)প্রথম মোক্তারি করতে আসার সময় জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিল একটা ক্যাম্বিসের ব্যাগ,আর একটি-

ক)পিতলের ঘটি

খ)কাঁসার ঘটি

গ)পিতলের থালা

ঘ)মহাভারত

উত্তর:(ক) পিতলের ঘটি


১৬)জয়রাম মুখোপাধ্যায় বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন মাসিক-

ক) পাঁচ সিকায়

খ) দশ সিকায়

গ)তেরো সিটকায়

ঘ)পনোরো সিটকায়

উত্তর:(গ) তেরো সিকায়


১৭)জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের মেজাজ ছিল-

ক)নমনীয়

খ)দিলখোলা

গ)স্বভাবকোমল

ঘ)রুক্ষ

উত্তর:(ঘ) রূক্ষ


১৮)যৌবনকালে জয়রাম মুখোপাধ্যায় ছিলেন-

ক)হুল্লোড়বাজ

খ) বদরাগি

গ) বাউন্ডুলে

ঘ) উৎশৃংখল

উত্তর:(খ) বদরাগি


১৯)আদালত অবমাননার জন্য জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের জরিমানা হয়েছিল-

ক)পাঁচ টাকা

খ) সাত টাকা

গ) নয় টাকা

ঘ)দশ টাকা

উত্তর:(ক) পাঁচ টাকা


২০) জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তাস-পাশার আসর বসত-

ক)রবিবার

খ) শনিবার

গ) মঙ্গলবার

ঘ) শুক্রবার

উত্তর:(ক) রবিবার


২১)'হাতি পাওয়া গেল না।'-বলেছিল-

ক)সেনাপতি

খ)গোমস্তা

গ) ভৃত্য

ঘ) নায়েব

উত্তর:(গ)ভৃত্য


২২) মহারাজা নরেশচন্দ্র জয়রামবাবুকে যেভাবে বিয়েবাড়িতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন-

ক)গোরুর গাড়িতে করে

খ)ঘোড়ার গাড়িতে করে

গ)হাতির পিঠে করে

ঘ)পায়ে হেঁটে

উত্তর:(ক)গোরুর গাড়িতে করে


২৩)উমাচরণ লাহিড়ি তার হাতির দাম চেয়েছিলেন-

ক) ২০০০ টাকা

খ) ৫০০ টাকা

গ) ৩০০০ টাকা

ঘ) ৫০০০ টাকা

উত্তর:(ক) ২০০০ টাকা


২৪)জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাতি এসেছিল-

ক)বেলা সাতটার সময়

খ)বেলা দশটার সময়

গ) বেলা বারোটায়

ঘ)বিকেল চারটেয়

উত্তর:(ক)বেলা সাতটার সময়


২৫)হাতির পায়ে জল দিয়ে তাকে বরণ করেছিল জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের-

ক)স্ত্রী

খ)জ্যেষ্ঠা কন্যা

গ)জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ

ঘ) কনিষ্ঠা পুত্রবধূ

উত্তর;(গ) জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ


২৬)'তাহার ললাট রঞ্জিত করিয়া দিলেন।'-যার ‘ললাট রঞ্জিত' করা হয়েছিল-

ক) কুল দেবতার

খ) আদরিণীর

গ) জয়রাম মুখুজ্জের

ঘ) বড় বউয়ের

উত্তর:(খ) আদরিণীর


২৭)আদরিণীর ললাট রঞ্জিত করে দিয়েছিল-

ক) জয়রাম মুখোপাধ্যায়

খ) বড় বউ

গ)মাহুত

ঘ) ছোট বউ

উত্তর:(খ)বড় বউ


২৮)বড়ো বউ যখন আদরিণীর ‘ললাট রঞ্জিত' করে দিচ্ছিল তখন ঘন ঘন যা হচ্ছিল-

ক)পুষ্পবৃষ্টি

খ) উলুধ্বনি

গ) জয়ধ্বনি

ঘ) শঙ্খধ্বনি

উত্তর:(ঘ) শঙ্খধ্বনি


২৯)জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের পুত্রসংখ্যা-

ক)এক

খ)দুই

গ)তিন

ঘ)চার

উত্তর:(গ) তিন


৩০)জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম পুত্র-

ক)শিক্ষিত

খ)ধার্মিক

গ) বাধ্য

ঘ) মূর্খ

উত্তর:(ঘ) মূর্খ


৩১)জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের কনিষ্ঠ পুত্রটি পড়াশোনা করে-

ক)কলকাতায়

খ) ঢাকায়

গ) পাটনায়

ঘ) বিহারে

উত্তর:(ক) কলকাতায়


৩২)জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের শেষ মোকদ্দমাটি ছিল একটি-

ক)চুরির

খ)প্রতারণার

গ)সম্পত্তি-বিবাদের

ঘ) খুনের

উত্তর:(ঘ) খুনের


৩৩)জীবনে শেষবার এজলাস থেকে বেরিয়ে আসার সময় জয়রাম মুখোপাধ্যায় যা করেছিলেন-

ক)আদালতকে প্রণাম

খ)গীতাকে প্রণাম

গ) জজসাহেবকে সেলামি

ঘ) পাঞ্জাবির খুঁট দিয়ে চোখ মুছে ছিলেন

উত্তর:(গ)জজসাহেবকে সেলামি


৩৪)হাতি ভাড়ার বিজ্ঞাপনে জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের নামের তলায় কোন জায়গার নাম লেখা ছিল ?

ক)দাসপাড়া

খ)মণ্ডলপাড়া

গ) চৌধুরীপাড়া

ঘ) পশ্চিম পাড়া

উত্তর:(খ) মন্ডলপাড়া


৩৫)হাতি ভাড়া দিয়ে জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের আয় হত-

ক) সর্বাধিক ১৫-২০ টাকা

খ) সর্বাধিক ২০-২৫ টাকা

গ) সর্বাধিক ১০-১৫ টাকা

ঘ) সর্বাধিক ৩০-৪০ টাকা

উত্তর:(ক)সর্বাধিক ১৫-২০ টাকা


৩৬)জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা পৌত্রীর নাম ছিল-

ক)প্রতিমা

খ)কল্যাণী

গ) গৌরী

ঘ) কমলা

উত্তর:(খ) কল্যাণী


৩৭)জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা পৌত্রী কল্যাণী পদার্পণ করেছিল-

ক)দশম বর্ষে

খ)দ্বাদশ বর্ষে

গ)ত্রয়োদশ বর্ষে

ঘ)পঞ্চদশ বর্ষে

উত্তর:(খ)দ্বাদশ বর্ষে


৩৮)জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা পৌত্রীর বিয়েতে পাত্রপক্ষের দাবি ছিল-

ক)২০০০ টাকা

খ)২৫০০ টাকা

গ) ৪০০০ টাকা

ঘ) ৫০০০ টাকা

উত্তর:(ক)২০০০ টাকা


৩৯)বামুনহাটে মেলা হয়-

ক)কার্তিক সংক্রান্তিতে

খ)পয়লা বৈশাখে

গ) চৈত্র সংক্রান্তিতে

ঘ)মকর সংক্রান্তিতে

উত্তর:(গ) চৈত্র সংক্রান্তিতে


৪০)মেলায় আদরিণীর যে দাম প্রত্যাশা করা হয়েছিল-

ক)১৫০০ টাকা

খ)২০০০ টাকা

গ)৩০০০ টাকা

ঘ)৪০০০টাকা

উত্তর:(গ)৩০০০ টাকা


৪১)আদরিণীকে বিক্রির জন্য মেলায় পাঠানোর আগে জয়রাম মুখোপাধ্যায় নিজের হাতে তাকে খাইয়েছিলেন-

ক)রসগোল্লা

খ) গাছের পাতা

গ) কলা

ঘ) কলা ও আলোচাল

উত্তর:(ক) রসগোল্লা


৪২)কল্যাণীর বিবাহের দিন স্থির হয়েছিল-

ক)৬ জ্যৈষ্ঠ

খ)৮ জ্যৈষ্ঠ

গ) ১০ জ্যৈষ্ঠ

ঘ) ১২ জ্যৈষ্ঠ

উত্তর:(গ)১০ জ্যৈষ্ঠ


৪৩)রসুলগঞ্জের মেলায় যাওয়ার সময় আদরিণী-

ক)চোখের জল ফেলছিল

খ)গোঁ ধরে দাঁড়িয়েছিল

গ)চিৎকার করছিল

ঘ) গম্ভীরভাবে চলে গিয়েছিল

উত্তর:(ক) চোখের জল ফেলছিল


৪৪) আদরিণী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বাড়ি থেকে-

ক)দু-ক্রোশ দূরে

খ)পাঁচ ক্রোশ দূরে

গ)সাত ক্রোশ দূরে

ঘ)দশ ক্রোশ দূরে

উত্তর:(গ) সাত ক্রোশ দূরে


৪৫) অসুস্থ আদরিণীর কাছে যাওয়ার জন্য জয়রামবাবুর গাড়ি ছেড়েছিল-

ক)রাত আটটায়

খ)রাত ন-টায়

গ) রাত দশটায়

ঘ) সকাল ১১ টায়

উত্তর:(গ) রাত দশটায়


৪৬)আদরিণীর মৃত্যুর পরে জয়রাম মুখোপাধ্যায় জীবিত ছিলেন-

ক)মাত্র চার মাস

খ)মাত্র দু-মাস

গ)মাত্র ছয় মাস

ঘ) মাত্র এক বছর

উত্তর:(খ)মাত্র দু-মাস


আরো পড়ুন:

একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর click here 

তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর click here 


লালন শাহ ফকিরের গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click here 


ভাব সম্মিলন কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click here 

ছুটি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click here 


আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধ প্রশ্ন উত্তর Click here

পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click here 


বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান আলোচনা করো। Click here 

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো। Click here 

বাংলা কাব্য সাহিত্য মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান 

Click here 

চরিত্র গঠনে খেলাধুলার ভূমিকা Click here 


বাংলা কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তী অবদান click here 

বাংলা নাট্য সাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান Click here 

বাংলা নাট্য সাহিত্যে বিজন ভট্টাচার্যের অবদান Click here 

বাংলা গদ্যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান Click here 

বাংলা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথের অবদান Click here 

বাংলা নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান Click here 

বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান Click here 

বাংলা উপন্যাসে শরৎচন্দ্রের অবদান click here 


আড্ডা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click here 


মানস- মানচিত্র অবলম্বনে ইন্টারনেট ও আধুনিক জীবন সম্পর্কে প্রবন্ধ রচনা Click here 

বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রবন্ধ রচনা Click here 

শিক্ষায় ও চরিত্র গঠনে খেলাধুলো রচনা Click here 

রক্তদান জীবনদান প্রবন্ধ রচনা Click here 

বিজ্ঞাপন ও আধুনিক জীবন রচনা Click here 



লৌকিক সাহিত্যের বিভিন্ন দিকে- লোককথা Click here 

লৌকিক সাহিত্যের বিভিন্ন দিক- ধাঁধা Click here 

লৌকিক সাহিত্যের বিভিন্ন দিক- ছড়া Click here



দ্বাদশ শ্রেণীর তৃতীয় সেমিস্টার আদরিনী গল্পের mcq প্রশ্ন উত্তর click here 


দিগ্বিজয়ের রূপকথা কবিতার mcq প্রশ্ন উত্তর Click here 


বাঙ্গালা ভাষা প্রবন্ধের mcq প্রশ্ন উত্তর Click here 























Post a Comment

0 Comments