চর্যাপদ প্রশ্ন উত্তর mcq।


চর্যাপদ প্রশ্ন উত্তর mcq।


চর্যাপদ:


১)বাংলা শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস:


ক) প্রথমপর্ব

প্রাচীন বাংলা: সমাজ ও সাহিত্য


খ) বাংলা সাহিত্যের যুণগবিভাগ:

বাংলা সাহিত্যকে প্রধানত তিনটি যুগে ভাগ করা হয়-

১)বাংলা সাহিত্যের আদি যুগ:

প্রাক্-তুর্কি আক্রমণ যুগ (আনুমানিক ৯০০ খ্রি. থেকে ১২০০ খ্রি.)।

২)বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ:

শ্রীকৃয়কীর্তন থেকে কবি ভারতচন্দ্রের মৃত্যু পর্যন্ত ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ-পূর্ববর্তী যুগ (আনুমানিক ১৩৫১ খ্রি. থেকে ১৮০০ খ্রি.)।


৩)বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ:

ইউরোপ প্রভাবিত যুগ (১৮০১ খ্রি. থেকে বর্তমান কাল)।


১) বাংলা সাহিত্য আদি যুগ:

আদি যুগের বাংলা সাহিত্যের একমাত্র নিদর্শন হল চর্যাপদ। এটি বৌদ্ধ সাধক দের সাধনতত্ত্বের সংকলন ।


ক) চর্যাপদের আবিষ্কার:

মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথিটি আবিষ্কার করেন।এর পূর্বে নাম ছিল-"চর্যাচর্যবিনিশ্চয়"।


খ) প্রকাশকাল:

১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের তরফ থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় চর্যাপদ কি গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হয় এবং নাম দেওয়া হয়-"হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা"


গ) সন্ধ্যাভাষা:

'সন্ধ্যাভাষা'হল এক রহস্যময় ভাষা। এই ভাষার বাইরে থাকে সাধারণ অর্থ, আর ভিতরে থাকে সুগভীর অর্থ। ধ্যানের মাধ্যমে এই ভাষাকে বুঝতে হয় বলেও এর নাম সন্ধ্যা ভাষা। চর্যাপদ-এর ভাষা কিছুটা আলো-আঁধারি ভাষা বলে একে সন্ধ্যাভাষা বলা হয়।


ঘ) চর্যাপদের রচনাকাল:

চর্যাপদগুলির রচনাকাল আনুমানিক দশম থেকে দ্বাদশ শতক।


ঘ) দার্শনিকতা ও ধর্মমত:

চর্যা গানগুলি মূলত সাধনা সঙ্গীত তাই এই গানগুলি দিয়ে নিত্য সহকারে গীত হতো।


চ) চর্যাপদে সমকালীন সমাজ জীবন:

চর্যাপদের তথ্য অনুযায়ী-

১)সেই সময়ে সাধারণ মানুষ জনবসতি থেকে দূরে বাস করত। যাতে উচ্চবর্ণের মানুষদের গায়ে নিম্ন বর্ণের মানুষের ছোঁয়া না লাগে।বাঙ্গালীদের প্রিয় খাদ্য ছিল ভাত, মাছ, দুধ, মাংস ইত্যাদির কথা উল্লেখ পাওয়া যায়।

২) বাজনা বাজিয়ে বরের বিবাহ করতে যাওয়ার প্রচলন ছিল। সামাজিক অনুষ্ঠানে নাচ-গান অভিনয় ও যৌথ নাচের চর্চা ছিল।

৩) বিয়েতে যৌতুক প্রথা চালু ছিল।

৪) সমাজে বর্ণভেদ ও অস্পৃশ্যতা ছিল।

৫)পেশা হিসেবে তুলোধোনা,মদবিক্রি, মাছ ধরা,নৌকা চালানো,পশুপাখি শিকার,সাপের খেলা দেখানো ইত্যাদি প্রচলন ছিল।

৬) সেই সময়ে চোর ডাকাতদের যেমন উপদ্রব ছিল, তেমনি সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও ছিল।


ছ) MCQ প্রশ্ন উত্তর:

১)চর্যাপদ-এর পুথি আবিষ্কার করেন-

ক) রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

খ) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

গ) শিবনাথ শাস্ত্রী

ঘ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

উত্তর:(ঘ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী


২)চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়—

ক)১৯০৭ খ্রি.

খ)১৯১০ খ্রি.

গ)১৯০৯ খ্রি.

ঘ)১৯১৬ খ্রি.

উত্তর:(ক)১৯০৭ খ্রি.


৩)চর্যাপদ-এর কবিতাগুলি প্রধানত যে ছন্দে লেখা,তা হল-

ক) দোঁহা

খ) পাদাকুলক

গ) চউপাইআ

ঘ) ত্রিপদী

উত্তর:(খ) পাদাকুলক


৪)চর্যাপদ-এর পুথি প্রকাশিত হয়-

ক)১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে

খ)১৯১০ খ্রিস্টাব্দে

গ)১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে

ঘ)১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর:(ক)১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে


৫)হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত চর্যাপদ-এর পুথিটির নাম-

ক) আশ্চর্যচর্যাচয়

খ) চর্যাগীতিকোশ

গ) চর্যাগীতিকোশবৃত্তি

ঘ) চর্যাচর্যবিনিশ্চয়

উত্তর:(ঘ) চর্যাচর্যবিনিশ্চয়


৬)গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় চর্যাপদ-এর নাম হয়েছিল-

ক)হাজার বছরের পুরানো বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোঁহা

খ)হাজার বছরের পুরানো বাংলা ভাষারপদ

গ) হাজার বছরের পুরানো বাংলা ভাষারপদ

ঘ) চর্যাগীতিকোষ

উত্তর:(ক)হাজার বছরের পুরানো বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোঁহা


৭)গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় চর্যাপদ-এর পদের সংখ্যা ছিল-

ক)সাড়ে ছেচল্লিশ

খ)পঞ্চাশ

গ) সাড়ে সাতচল্লিশ

ঘ) বিয়াল্লিশ

উত্তর:(ক)সাড়ে ছেচল্লিশ


৮)চর্যাপদ যে ভাষার প্রাচীনতম দৃষ্টান্ত, তা হল-

ক) মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার

খ) নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার

গ) পালি ভাষার

ঘ) প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার

উত্তর:(খ) নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার


৯)চর্যাপদ-এ কতজন কবির নাম পাওয়া যায়?

ক)২৪ জন

খ)২৫ জন

গ)২৭ জন

ঘ)২৯ জন

উত্তর:(ক)২৪ জন


১০)চর্যাপদ-এ কোন্ পদকারের পদের সংখ্যা সর্বাধিক?

ক) ভুসুকুপাদ

খ) ঢেণ্ঢনপাদ

গ) লুইপাদ

ঘ) কাহ্নপাদ

উত্তর:(ঘ) কাহ্নপাদ


১১)চর্যাপদে-এ কোন্ ধর্মের প্রকাশ ঘটেছে?

ক)শৈবধর্ম

খ) বৌদ্ধ ধর্ম

গ) শাক্তধর্ম

ঘ) নাথধর্ম

উত্তর:(খ) বৌদ্ধ ধর্ম


১২)চর্যাপদ-এ ব্যবহৃত ভাষাকে বলা হয়-

ক)সন্ধ্যাভাষা

খ) অপভ্রংশ

গ) ব্রজবুলি

ঘ) প্রাকৃত

উত্তর:(ক)সন্ধ্যাভাষা


১৩)চর্যাপদ-এর পদগুলির রচনাকাল-

ক)আনুমানিক ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শতক

খ)আনুমানিক নবম থেকে দ্বাদশশতক

গ)আনুমানিক দশম থেকে দ্বাদশ শতক

ঘ)আনুমানিক ষষ্ঠ থেকে দশম শতক

উত্তর:(গ)আনুমানিক দশম থেকে দ্বাদশ শতক


১৪)চর্যাপদ-এর সর্বাধিক সংখ্যক পদের রচয়িতার মোট পদের সংখ্যা হল-

ক)১২টি

খ) ৬টি

গ) ৮টি

ঘ) ৫টি

উত্তর:(ক)১২টি


১৫) চর্যাপদের পদকর্তাদের অভিহিত করা হয় যে নামে,তা হল-

ক) গোস্বামী

খ) ভিক্ষুক

গ) সিদ্ধাচার্য

ঘ) যোগী

উত্তর:(গ) সিদ্ধাচার্য


১৬)চর্যাপদ-এর পুথিটি আবিষ্কৃত হয়-

ক)নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে

খ)বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামথেকে

গ) বর্ধমানের রাজবাড়ি থেকে

ঘ) বীরভূমের নানুর গ্রাম থেকে

উত্তর:(ক)নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে


১৭)চর্যার তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন-

ক) প্রবোধচন্দ্র বাগচি

খ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

গ) সুকুমার সেন

ঘ)কাহ্ন পা

উত্তর:(ক) প্রবোধচন্দ্র বাগচি


১৮)তিব্বতিতে প্রাপ্ত চর্যাপদ-এ পদের সংখ্যা ছিল-

ক) ৫০টি

খ) ৪৬টি

গ) ৫১টি

ঘ) ৪৮টি

উত্তর:(গ) ৫১টি


১৯)লুইপাদের পদ পাওয়া যায়-

ক) ৫টি

খ) ৪টি

গ) ২টি

ঘ) ৩টি

উত্তর:(গ) ২টি


২০)চর্যাপদ -এর গানগুলি যে ছন্দে রচিত,তা হল-

ক)মাত্রাবৃত্ত ছন্দ

খ)পয়ার ছন্দ

গ)কলাবৃত্ত ছন্দ

ঘ)মহাপয়ার ছন্দ

উত্তর:(ক)মাত্রাবৃত্ত ছন্দ


২১)চর্যার প্রাচীন পদকর্তা হলেন-

ক) কাহ্নপাদ

খ) লুইপাদ

গ) ভুসুকুপাদ

ঘ) ঢেণ্ঢনপাদ

উত্তর:(খ) লুইপাদ


২২)চর্যার পদগুলির মূল বিষয় ছিল-ক)সমাজচিত্র বর্ণন

খ)ঐতিহাসিক তত্ত্ব সরবরাহ

গ)সাধনতত্ত্বের প্রকাশ

ঘ)তাত্ত্বিক দর্শন প্রতিষ্ঠা

উত্তর:(গ)সাধনতত্ত্বের প্রকাশ


২৩)‘সন্ধ্যা’শব্দের প্রকৃত অর্থ হল-

ক)সম্যক ধ্যান

খ)রাতের বেলা

গ)দিনের মধ্যভাগ

ঘ)অন্ধকার সময়

উত্তর:(ক)সম্যক ধ্যান


২৪) মাগধী অপভ্রংশ প্রচলিত ছিল-

ক) মগধে

খ) গৌড় বঙ্গীয় অঞ্চলে

গ) প্রাচীন বঙ্গদেশে

ঘ) রাঢ়বঙ্গে

উত্তর:(খ) গৌড় বঙ্গীয় অঞ্চলে



আরো পড়ুন:


একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম সেমিস্টার: 


গল্প


পুঁইমাচা গল্পের mcq প্রশ্ন উত্তর click here


বিড়াল প্রবন্ধের mcq প্রশ্ন উত্তর click here 



একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার:


গল্প:

ছুটি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click here 


তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর click here 


কবিতা:

ভাব সম্মিলন কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click here 


লালন শাহ ফকিরের গান কবিতার প্রশ্ন

উত্তর Click here 



নাটক: 


পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ:

পঞ্চতন্ত্র


বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর click here 

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধ প্রশ্ন উত্তর Click here

পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click here 

আড্ডা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click here 


আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারা:


বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান আলোচনা করো। Click here 


বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো। Click here 


বাংলা কাব্য সাহিত্য মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান Click here 


বাংলা কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তী অবদান click here 


বাংলা নাট্য সাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান Click here 


বাংলা নাট্য সাহিত্যে বিজন ভট্টাচার্যের অবদান Click here 


বাংলা গদ্যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান Click here 


বাংলা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথের অবদান Click here 


বাংলা নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান Click here 


বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান Click here 


বাংলা উপন্যাসে শরৎচন্দ্রের অবদান click here 



মানস- মানচিত্র অবলম্বনে:


ইন্টারনেট আধুনিক জীবন সম্পর্কে প্রবন্ধ রচনা Click here 


বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রবন্ধ রচনা Click here 


শিক্ষায় ও চরিত্র গঠনে খেলাধুলো রচনা Click here 


রক্তদান জীবনদান প্রবন্ধ রচনা Click here 


বিজ্ঞাপন ও আধুনিক জীবন রচনা Click here 


চরিত্র গঠনে খেলাধুলার ভূমিকা Click here 


লৌকিক সাহিত্যের বিভিন্ন দিকে:


লোককথা Click here 

ধাঁধা Click here 

ছড়া Click here



দ্বাদশ শ্রেণীর তৃতীয় সেমিস্টার


আদরিনী গল্পের mcq প্রশ্ন উত্তর click here 


অন্ধকার লেখাগুচ্ছ কবিতার mcq প্রশ্ন উত্তর 


দিগ্বিজয়ের রূপকথা কবিতার mcq প্রশ্ন উত্তর Click here 


বাঙ্গালা ভাষা প্রবন্ধের mcq প্রশ্ন উত্তর Click here 


পোটরাজ গল্পের mcq প্রশ্ন উত্তর Click here 



প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টার: 

প্রথম পর্ব:


চর্যাপদের mcq প্রশ্ন উত্তর click here 























Post a Comment

0 Comments